বিএনপির আন্দোলন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নয়, তারা মূলত শেখ হাসিনাকে আঘাত করতে চায়—এই মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়কারী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হয়। তারা সহ্য করতে পারে না। তাই তারা শেখ হাসিনাকে আঘাত করতে চায়। আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে চায়।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর ১৪–দলীয় জোট আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু এসব মন্তব্য করেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে খুনিদের শাস্তির আওতায় এনেছেন, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন, এসব তারা (বিএনপি) সহ্য করতে পারে না। এখানেই তাদের আঁতে ঘা লেগেছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে সব সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, পুরো বিশ্ব যখন বাংলাদেশকে রোল মডেল বলে, তখন তাদের (বিএনপি) গাত্রদাহ হয়। তারা সহ্য করতে পারে না। সেই গাত্রদাহের জ্বালায় তারা শেখ হাসিনার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে চায়। শেখ হাসিনাকে আঘাত করতে চায়।
কারও দয়ায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেননি উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ বার আউলিয়ার দেশ। এ দেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ। শেখ হাসিনা এ দেশের ভূমিহীন মানুষকে ঘর দিয়েছেন। শুধু দেশের উন্নয়ন নয়, দেশের মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার সুযোগ করে দিয়েছেন, বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ১৪–দলীয় জোটের আয়োজনে বিকেল ৪টার দিকে উত্তরার আমির কমপ্লেক্সের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। বেলা সাড়ে তিনটা থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন জোটের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের কারও হাতে ছিল ব্যানার, কারও হাতে ফেস্টুন।