দেশের বাজারে রেকর্ড দাম হওয়ার পর বিশ্ববাজারে কিছুটা কমেছে মূল্যবান ধাতু সোনার দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৩০ ডলার বা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে। সোনার পাশাপাশি রুপা এবং প্লাটিনামের দামও কমেছে।
এর আগে বিশ্ববাজারে সোনার দাম কিছুটা বাড়লে গত ২০ জুলাই বৈঠক করে বাংলাদেশে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি।
বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ জুলাই থেকে সব থেকে ভালো মানের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭৭৮ টাকা। এর সঙ্গে ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে এক ভরি সোনার গহনা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৯ হাজার টাকার ওপরে।
কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করে। সেই সঙ্গে মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ৯ হাজার টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে। দেশের বাজারে এর আগে কখনো এতো বেশি দামে সোনার গহন বিক্রি হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায় বাজুস। ভালো মানের সোনার পাশাপাশি বাড়ানো হয় সব ধরনের সোনার দাম।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ৮২ হাজার ৪৬৪ এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৬৮ হাজার ৭০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রাখা হয় রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমতে দেখা যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ২৮ দশমিক ১৫ ডলার বা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এতে সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯১৩ দশমিক ৫৩ ডলার।
এদিকে রুপার দাম গত এক সপ্তাহে কমেছে ৩ দশমিক ৮৯ শতংশ। এতে প্রতি আউন্স রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৬৮ ডলার। আর প্লাটিনামের দাম ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯১২ দশমিক ৩৩ ডলার।