বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলার গ্রামাঞ্চলের কৃষিনির্ভর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে আজীবন যে দর্শন ও রাজনীতির চর্চা করে গেছেন সে প্রেক্ষাপটে তাঁর গ্রামমুখী উন্নয়ন দর্শনের একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনার মাধ্যমে শোকাবহ এই আগস্টে তাঁকে স্মরণ করতে চাই। তিনি জন্মেছিলেন এবং বেড়ে উঠেছিলেন গ্রামবাংলায়। পল্লী প্রকৃতির সজীব সৌন্দর্যে বিমোহিত হওয়ার সৌভাগ্য যেমন তাঁর হয়েছিল, তেমনি গ্রামের কৃষিনির্ভর মানুষের দুঃখ-দুর্দশাও খুব কাছে থেকে দেখে ও অনুভব করে করে তিনি বেড়ে উঠেছেন। নিঃসন্দেহে গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে তাঁর এমন ঘনিষ্ঠতা সমসাময়িক রাজনৈতিক নেতাদের তুলনায় তাঁকে বিশেষ করে তুলেছেন।
তিনিই প্রথম রাজনৈতিক নেতা, যাঁকে গ্রামবাংলার গরিব-দুঃখীসহ প্রায় সবাই মনে করতেন এবং এখনো মনে করেন যে ‘তুমি আমাদের লোক।’ তিনিও মনে করতেন গ্রামীণ জনগোষ্ঠী সবচেয়ে নির্যাতিত এবং তাদের জন্য যা কিছু দরকার তা-ই তাঁকে করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর গ্রামীণ উন্নয়ন কৌশলের ঐতিহাসিক পর্যালোচনায় গ্রামবাংলা বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-দর্শন-কর্মগুলোকে মোটাদাগে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হলো প্রাক-স্বাধীনতাকাল, অন্যটি স্বাধীনতা-পরবর্তী কাল।
প্রাক-স্বাধীনতাকালে একেবারে শুরুতে (অর্থাৎ) পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই বঙ্গবন্ধুর পল্লীমুখী রাজনৈতিক চেতনার পরিচয় পাওয়া যায় ১৯৪৮-৪৯-এ দাওয়ালদের আন্দোলনে তাঁর নেতৃত্ব দেওয়া থেকে। দাওয়ালরা ছিলেন মূলত পরিযায়ী কৃষি শ্রমিক। তাঁরা নিজের এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতেন ধান কাটতে এবং মজুরি হিসেবে ধানের একটি অংশ তাঁরা বাড়িতে নিয়ে আসতেন। সে সময় পাকিস্তান সরকার পূর্ব বাংলায় চালের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে কর্ডন প্রথা চালু করে।
এই প্রথা অনুসারে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় কৃষি
শ্রমিকদের ধান-চাল পরিবহনে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এতে দাওয়ালদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়লে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা হলেও কৃষকদের এই স্থানীয় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন। রাজনীতিতে তাঁর এই গ্রামমুখিতা পূর্ব বাংলার উদীয়মান নেতা হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে যেমন ভূমিকা রেখেছিল, তেমনি পাকিস্তানি অপশাসকরাও তাঁর এমন বৈশিষ্ট্যের কারণে তাঁকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে শুরু করেছিল। সিক্রেট ডকুমেন্টসের পাতায় পাতায় বঙ্গবন্ধুর গণমুখী কর্মকাণ্ডের বিবরণ এবং তাঁকে নিয়ে পাকিস্তানি রাষ্ট্রের আশঙ্কার খোঁজ মেলে।
ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত (বলা যায় ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত) বঙ্গবন্ধু সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কখনো ছাত্র হিসেবে সামনে থেকে আন্দোলন করেছেন, কখনো বা রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছেন। ভাষা আন্দোলনের অন্যান্য নেতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পার্থক্য এখানেই যে তিনি এটিকে শুধু একটি সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে নিজের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এর অর্থনৈতিক গুরুত্বকে বারবার সামনে নিয়ে এসেছেন। ভাষার ওপর পাকিস্তানি অভিজন শাসকদের আগ্রাসনের সঙ্গে গ্রামবাংলার মানুষের ভাত-কাপড়ের অধিকারের লড়াইয়ের যোগসূত্র স্থাপন করেছেন।
পরবর্তী সময়ে যখন প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ঘোষণা এলো তখন তুলনামূলক তরুণ নেতা হওয়ার পরও গ্রামমুখী নেতৃত্ব হিসেবে সর্বস্তরে জনপ্রিয়তার বিচারে নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছিল। ফলে দেখা যায়, যুক্তফ্রন্ট যে ২১ দফা কর্মসূচি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার ময়দানে হাজির হয়েছিল তার মধ্যে সাতটিই ছিল গ্রামবাংলার মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়ী হলেও পাকিস্তানি রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের কারণে শেষ পর্যন্ত বাঙালিরা ক্ষমতায় বেশিদিন টিকতে পারেনি। বরং কারাবন্দি হতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে।
সে সময়টিতে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। এর মধ্যেও বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পূর্ব বাংলার কৃষক পরিবারগুলোর দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তবে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারক হিসেবে বিভিন্ন মাত্রায় দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থেকে বঙ্গবন্ধু ক্রমেই বুঝতে পারছিলেন যে পাকিস্তানের শাসনকাঠামোটিই এমন একটি অভিজনকেন্দ্রিক অচলায়তনে আটকে ছিল, যেখানে সংসদীয় রাজনীতি করে মেহনতি কৃষক শ্রেণির দাবিদাওয়া প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব ছিল।
প্রাক-স্বাধীনতাকালে গ্রামবাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বের শুরু হিসেবে দেখা যায় ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পরের সময়টিকে। এর আগেই বঙ্গবন্ধু কারামুক্ত হলেও সামরিক জাঁতাকলে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত। পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) জনগণ তাসখন্দ শান্তিচুক্তির মাধ্যমে শেষ হওয়া ওই পাক-ভারত যুদ্ধে নিজেদের ভারতের কাছে পরাজিত হিসেবে দেখছিল। অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) জনগণ এই যুদ্ধের ফলে পশ্চিম পাকিস্তানিরা যে পূর্ব বাংলার মানুষের নিরাপত্তা আর ভালো-মন্দকে মোটেও অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে না সেটা গভীরভাবে অনুভব করতে পেরেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটেই অল পাকিস্তান ন্যাশনাল কংগ্রেস আহবান করা হয় ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। বঙ্গবন্ধু লাহোরের এই সম্মেলনের সুযোগটি কাজে লাগান পূর্ব বাংলার মানুষের বঞ্চনার সমাপ্তি ঘটানোর ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব উপস্থাপনের মাধ্যমে।
স্বভাবতই বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার মধ্যে চারটি দফার সঙ্গেই গ্রামবাংলার মানুষের জীবন-জীবিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের স্পষ্ট সংযোগ লক্ষ করা যায়। প্রথম দফায় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। যেহেতু পূর্ব বাংলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিনির্ভর এবং পুরো পাকিস্তানেই তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই সংসদীয় গণতন্ত্রে গেলে কৃষিজীবীদের স্বার্থ যারা নিশ্চিত করতে পারবে এমন ব্যক্তি-দল-জোটই শাসনভার পেত। ছয় দফা কর্মসূচির তৃতীয় দফায় পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে সম্পদ পাচার রোধের কথা বলা হয়েছিল। সে সময় পূর্ব বাংলার পাট রপ্তানি থেকে আসা আয় দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে বিনিয়োগ হচ্ছিল। এই সম্পদ পাচার রোধ করা গেলে তা পূর্ব বাংলার কৃষি ও কৃষিজীবীদের উন্নয়নে বিনিয়োজিত হতো। চতুর্থ দফায় প্রাদেশিক সরকারকে কর ধার্য ও আদায় করার ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব ছিল। পূর্ব বাংলার বেশির ভাগ পরিবার যেহেতু কৃষিনির্ভর ছিল, তাই প্রাদেশিক সরকার কর ধার্য করলে তা যতটা সম্ভব কৃষকবান্ধব হতো। পঞ্চম দফায় প্রাদেশিক সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার যে আলাদা হিসাবের প্রস্তাবনা ছিল সেটি বাস্তবায়ন করা গেলেও পূর্ব বাংলার কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে আসা বৈদেশিক মুদ্রা এখানকার কৃষির বিকাশে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ত।
দেখা যাচ্ছে যে প্রাক-স্বাধীনতাকালে উদীয়মান তরুণ রাজনীতিক থেকে শুরু করে জাতির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠার পথে প্রতিটি পর্বে বঙ্গবন্ধু গ্রামবাংলার মানুষের অধিকার এবং তাদের জীবন-জীবিকার উন্নয়নের প্রশ্নগুলোকে তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা ও কর্মের কেন্দ্রে রেখে এগিয়েছেন। আর যতই সময় এগিয়েছে ততই গণসংশ্লিষ্টতা এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার জোরে তাঁর পল্লীবান্ধব রাজনীতি আরো শাণিত হয়েছে। এতে একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধুর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা বেড়েছে, অন্যদিকে পূর্ব বাংলার রাজনীতির ময়দানে কৃষক ও কৃষি প্রশ্নের গুরুত্ব ক্রমেই বেড়েছে। ফলে কৃষক এবং বৃহদার্থে দরিদ্র ও প্রান্তজনবান্ধব রাষ্ট্র হিসেবে বাঙালির নিজের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ নিশ্চিত হয়েছে।
প্রাক-স্বাধীনতাকালে বঙ্গবন্ধুর কৃষি ও পল্লীবান্ধব রাজনীতির বিকাশ ঘটেছে একটি দীর্ঘ সময় ধরে (দুই দশকের বেশি সময়)। সে তুলনায় স্বাধীনতা-উত্তরকালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর কৃষি ও পল্লীবান্ধব চিন্তা ও দর্শনগুলো বাস্তবে প্রতিফলিত করার সময় পেয়েছেন খুবই কম (চার বছরেরও কম)। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সদ্যঃস্বাধীন বাংলাদেশের গ্রামমুখী চরিত্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি অনন্যসাধারণ ভূমিকা রেখে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ে তাৎক্ষণিক পুনর্বাসন ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে যেমন কৃষি ও গ্রাম উন্নয়নকে বঙ্গবন্ধু অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, তেমনি দীর্ঘতর মেয়াদের জন্য পরিকল্পিত উন্নয়ন কৌশলকে কৃষি ও গ্রামাঞ্চলকে সমান গুরুত্ব দিয়ে যেন বিবেচনা করা হয়—সেটিও তিনি নিশ্চিত করেছিলেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কৃষির প্রতি মনোযোগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। পরিকল্পনার দলিলেই লেখা হয়েছে (ইংরেজি থেকে বাংলায় অনূদিত)—‘কৃষি খাতের ব্যাপক গুরুত্বের বিবেচনায় এই পরিকল্পনায় এ খাতের ওপরই সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। কৃষি খাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে লক্ষ্য তা অর্থনীতির অন্যান্য অংশগুলোতে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়েছে।’
এই পরিকল্পনা দলিলের খাতওয়ারি উন্নয়ন বরাদ্দ বণ্টনেও এই বক্তব্যের প্রতিফলন পাওয়া যায়। কেননা মোট সম্পদ বরাদ্দের সবচেয়ে বড় অংশ (২৪ শতাংশ) ছিল ‘কৃষি ও পানিসম্পদ’ খাতের জন্য। টাকার অঙ্কে এই পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার বেশি, যার প্রায় পুরোটাই সরকারি বিনিয়োগ। শুধু তা-ই নয়, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উন্নয়ন বরাদ্দ (২০ শতাংশ) পাওয়া শিল্প খাতের বরাদ্দেও গ্রামাঞ্চলের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধোত্তরকালে বাংলাদেশে ওই অর্থে উদ্যোক্তা শ্রেণি না থাকায় বঙ্গবন্ধু বৃহৎ শিল্প রাষ্ট্রায়ত্ত করার পক্ষে থাকলেও ব্যক্তি খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বিকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ই এমন নির্দেশনা পাওয়া যায়। এতে গ্রামাঞ্চলে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোগের বিকাশের পথ সুগম হয়েছিল।
তরুণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নের যে মহৎ অভিলক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সংগ্রামমুখর অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেই চেতনা ক্রমেই শাণিত ও তুখোড় হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেই বোঝাপড়াকেই মানুষের কাছে পৌঁছানোর উপায় করে পাকিস্তানি অপশাসনবিরোধী গণ-আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এভাবেই বাংলার গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু। শেষ পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া দেশের শাসনভার কাঁধে নিয়েছেন। এবং স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রার শুরু থেকেই গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশ্নের যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তার প্রতি সর্বোচ্চ সততা দেখিয়ে নীতি প্রণয়ন করেছেন তিনি। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট চক্রান্তকারীদের আঘাতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হারাতে না হলে বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়নের চিত্র আরো বহুগুণে ইতিবাচক হতো তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। আরো অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়ে যেত বঙ্গবন্ধুর প্রিয় বাংলাদেশ।
লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর