তৃতীয় আর চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নেমেছিল ভারত। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ছিল ইতিহাস। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এর আগে কোন দলই ২-০ থেকে ফিরে এসে সিরিজ জেতেনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়টা পেয়েছে স্বাগতিক হিসেবে খেলা উইন্ডিজই। নিকোলাস পুরান-ব্রেন্ডন কিংদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে তারা। সিরিজ জিতে নিয়েছে ৩-২ ব্যবধানে।
রোববারের ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। আগের দুই ম্যাচেই সফল ছিল ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। সেই ফর্ম টেনে আনা হলো এদিনও। আগের দিনের মত ওপেনিং জুটি অবশ্য সফল হয়নি। শুভমান গিল আর জশস্বী জয়সওয়াল দুজনেই ফিরেছেন দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করার আগেই। দুজনেই স্পিনার আকিল হোসাইনের শিকার।
তবে ক্রিজে যখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটার, তখন বড় স্কোরের আশা করাই যায়। হলোও ঠিক তাই। তিনে নামা সূর্যকুমার যাদব খেললেন আরও এক দুর্দান্ত ইনিংস। ‘দ্য স্কাই’ জানান দিলেন এই ফরম্যাটে কেন তিনি বিশ্বসেরা। ৪৫ বলে ৪টি চার আর ৩ ছয়ে সাজানো ইনিংসে করলেন ৬১ রান। ভারতকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেওয়ার জন্য এটিই ছিল যথেষ্ঠ।
অন্যপাশে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন অনেকেই। এই সিরিজে আলাদা করে নজর কেড়েছেন তিলক ভার্মা। এদিনও ভাল খেলেছেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। লম্বা হতে পারতো তার ইনিংস। তবে থামতে হয়েছে রস্টন চেজের দারুণ বোলিংয়ে।
তিলক ফিরে গেলে সূর্যকে সঙ্গ দিয়েছেন স্যাঞ্জু স্যামসন এবং হার্দিক পান্ডিয়া। বড় স্কোর কেউই করতে পারেননি। দুজনেই ফিরেছেন ম্যাচসেরা রোমারিও শেফার্ডের শিকার হয়ে। মাঝে সূর্যকুমারকে ফিরিয়েছেন অভিজ্ঞ জেসন হোল্ডার। শেষে আবারও জোড়া শিকার করেছেন শেফার্ড। ভারত তাদের ইনিংস শেষ করেছে ১৬৫ রানে।
ওভারপ্রতি ৮ এর বেশি লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি উইন্ডিজের। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই আর্শদ্বীপের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন কাইল মায়ার্স। কিন্তু ওখানেই শেষ ভারতের সাফল্য। নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে লডারহিলের মাঠে ঝড় তুলেছেন ব্রেন্ডন কিং।
দুজন মিলে রান তুলেছেন ওভারপ্রতি ৯ এর বেশি গড় নিয়ে। এদের মধ্যে কিং ছিলেন আরও বেশি বিধ্বংসী। দুজনের জুটি থেকে এসেছে ১০৭ রান। ফিফটি থেকে তিন রান দূরে থাকতে পার্টটাইম বোলার তিলক ভার্মার শিকার হয়েছেন পুরান। ১ চার আর ৪ ছয়ে সাজানো তার ৪৭ রানের ইনিংস।
তবে অন্যপাশে কিং ছিলেন অবিচল। ৫৫ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন এই ওপেনার। চার নাম্বারে আসা শাই হোপও সঙ্গ দিয়েছেন তাকে। ১৩ বলে ২২ রানের ছোট ইনিংসটা জয়কে করেছে আরও সহজ। শেষ পর্যন্ত ২ ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিক উইন্ডিজ।