ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। বৃষ্টির প্রভাবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি পৃথক ঘটনায় এসব মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে জনপ্রিয় পর্যটন শহর সিমলায় ভূমিধসে মারা গেছেন নয়জন। এছাড়া সোলান জেলায় শনিবার (১৩ আগস্ট) রাতে ভারী বৃষ্টিতে প্রাণ হারিয়েছেন আরও সাতজন।
সিমলার ডেপুটি কমিশনার আদিত্য নেগি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, শহরটিতে ভূমিধসের ঘটনায় ১৫ থেকে ২০ জন এখনো মাটির নিচে চাপা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এএনআই জানিয়েছে, সোলানের কান্দাঘাট মহকুমায় অতিবৃষ্টির পর ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে আকস্মিক বন্যায় দুটি বাড়ি ও একটি গোয়ালঘর ভেসে গেছে। সোলানে নিহতদের মধ্যে অন্তত চারটি শিশু রয়েছে।
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। এক টুইটে তিনি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক টুইটে বলা হয়েছে,সোলান জেলার জাদন গ্রামে সাতজনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকাহত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা রইলো। এই কঠিন সময়ে আমরাও আপনাদের বেদনা ও দুঃখের অংশীদার।
এর মাত্র ঘণ্টা দেড়েক পরেই মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সিমলায় মন্দিরের ধ্বংসস্তূপ থেকে নয়টি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানান। টুইটে তিনি বলেন, সিমলায় সামার হিলের শিব মন্দির ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ধসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত নয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যেন এখনো আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করা যায়।
স্টেট ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্যমতে, ভয়ংকর এই দুর্যোগের কারণে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৭৫২টি সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পার্বত্য রাজ্যটির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রোববার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্র: এনডিটিভি