দেশদ্রোহীদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না: মোকতাদির চৌধুরী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, রাজাকার, আলবদরদের কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। দেশদ্রোহীদের কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। তাহলে দেশটা সুন্দরভাবে চলবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আগামীতে আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারলে আরও বহুগুণ যাবে।

১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশটাকে পুনরায় কার্যত পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তান মানে নামে নয়, কাজে এবং তারা একুশ বছর (মুশতাক, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া) কার্যত পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছিল। সেখান থেকে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন, সংগ্রাম এবং জনগণের আস্থা অর্জন করে ১৯৯৬ সালের জুন মাসে মুক্তি লাভ করি এবং আবার আমরা বাংলাদেশ ফিরে আসি।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যখন দেশটাকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেওয়ার পর আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করি। আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যবস্থা করতে পেরেছিলাম। আমরা দেশটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পেরেছিলাম। কিন্তু ২০০১ সালে কারচুপির নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আবার দেশকে পিছিয়ে দেয়। তারপর আবার সংগ্রাম, আবার আন্দোলন করে আমরা ২০০৮ সালে পুনরায় ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করি। সেখান থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তথা একনাগাড়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একটি সরকার থাকার কারণে দেশে আজকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে আবার ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল উঠে-পড়ে লেগেছে। তার প্রমাণ কী? প্রমাণ হলো- তারা এমন একটি নির্বাচন চায়, যেটা সংবিধানসম্মত হবে না। আমরাও বলেছি, সংবিধানসম্মত নির্বাচন হতে হবে। কেননা সংবিধানের বিধিবিধানের বাহিরে গিয়ে কোনো দেশ চলতে পারে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম, এম, মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।

শেয়ার করুন