আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা অনুমোদনের কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে প্রশিক্ষণ নীতিমালা নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, কমিশনের বৈঠকে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালা তথা ক্যালেন্ডার উপস্থাপন করব। কমিশন অনুমোদন দিলে আমরা প্রশিক্ষণ শুরু করব। তবে অবশ্যই সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
সচিব বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ নীতিমালা খসড়া তৈরি করছে কমিশন। সোমবার কমিশন সভায় এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।
ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ নিয়ে ইসি সচিব জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষ বেড়েছে ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ বা ৫৪ হাজার ৩৪৯টি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৩১৯টি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যা বেড়েছে দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৮টি।
তিনি বলেন, সব থেকে বেশি ভোটকক্ষ বেড়েছে কুমিল্লায় ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর সব থেকে কম ভোটকক্ষ বেড়েছে ঢাকায় ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্র থেকে বেড়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার ৩৮০টির মতো হতে পারে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটকেন্দ্র বাড়ছে ২ হাজার ১৯৭টি। তবে ইসির চূড়ান্ত হিসাবে কিছু কম-বেশি হতে পারে বলেও জানান জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, ইসির ১০টি অঞ্চলের মধ্যে এবার কুমিল্লা অঞ্চলে কেন্দ্র বাড়ছে বেশি। এ অঞ্চলে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অঞ্চলে একাদশের ৪ হাজার ২৯৪টি কেন্দ্র থেকে বেড়ে ৪ হাজার ৭৭৫টির মতো কেন্দ্র হচ্ছে। সবচেয়ে কম বাড়ছে সিলেট অঞ্চলে। সেখানে একাদশের দুই হাজার ৮০৫টি কেন্দ্র থেকে বেড়ে দুই হাজার ৮৬৫ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার প্রকাশিত খসড়া কেন্দ্রের ওপর দাবি-আপত্তির নেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ আগস্ট। এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর এবং খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর।