এলপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন বি-লাভ ক্যান্ডি 

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

অবশেষে নতুন কোন দলের হাতে উঠল লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। আগের তিন আসরের সবকটিতেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল জাফনা কিংস। তবে এবার প্লে-অফের এলিমিনেটরেই বাদ পড়ে যায় তারা। তখনই নিশ্চিত হয় নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে চলেছে লঙ্কান এই ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ। ফাইনালে ডাম্বুলা অরা এবং বি-লাভ ক্যান্ডি দুজনেরই সুযোগ ছিল ইতিহাসের অংশ হওয়ার। তবে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয়টা পেয়েছে ক্যান্ডিই।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনাল গড়িয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। যেখানে নিজের নার্ভ ধরে রেখে ম্যাচটা নিজেদের করে নিয়ে ক্যান্ডি। দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তার ২১ বলে ২৫ রানের ঠান্ডা মাথার ইনিংস দলকে দিয়েছে শিরোপার স্বাদ।

পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাটে বলে ক্যান্ডিকে টিকিয়ে রেখেছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। লঙ্কান এই অলরাউন্ডারের প্রভাব এতই বেশি পুরো টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক যেমন তিনি, তেমনকি সবচেয়ে বেশি উইকেটও পেয়েছেন। কিন্তু ফাইনালের আগে ইনজুরিতে পড়ে যান হাসারাঙ্গা। ক্যান্ডিকে নামতে হয় নিজেদের সেরা খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েই। 

টস জিতে প্রতিপক্ষ ডাম্বুলাকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় ক্যান্ডি। শুরুতেই আভিস্কা ফার্নান্দোর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ডাম্বুলা। তবে সেটাকে বাড়তে দেননি কুশাল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫৭ রান। ব্যাট হাতে দুজনের কেউই খুব একটা আগ্রাসী ছিলেন না। 

৩০ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান সামারাবিক্রমা। ২৩ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে একই ওভারে আউট হয়েছেন কুশলও। এরপরই ডাম্বুলা পায় রান তোলার গতি। ব্যাট হাতে বড় স্কোরের চেষ্টা করেন কুশল পেরেরা এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফেরে ডাম্বুলা। চতুর্থ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ৬৩ রান। ২৫ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কুশাল পেরেরা। অন্যদিকে ২৯ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন ধনঞ্জয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ডাম্বুলা।

১৪৮ রানের মাঝারি টার্গেটের জবাব দিতে নেমে ক্যান্ডির শুরুটা ছিল দারুণ। দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস এবং কামিন্দু মেন্ডিস শুরু থেকেই ছিলেন ছন্দে। পাওয়ারপ্লেতে ওভারপ্রতি ৮ রান করে পেয়েছে ক্যান্ডি। বিনা উইকেটে ৪৭ রান তোলে প্রথম ৬ ওভারে।

এরপরেই অবশ্য ছন্দপতন। ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ৪৯ রানের মাথায় আউট হয়ে যান হারিস। তবে মেন্ডিস ছিলেন অবিচল। সঙ্গে অভিজ্ঞ দীনেশ চান্দিমালও ছিলেন যোগ্য সঙ্গ হয়ে। ধীরে ধীরে ফিফটির কাছেই যাচ্ছিলেন মেন্ডিস। তবে ৩৭ বলে ৪৪ রানে থামতে হয়েছে তাকে। এক ওভার পরে আউট হয়ে যান চান্দিমালও। ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। 

পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ডাম্বুলা। কিন্তু তাদের শিরোপা স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ান পাকিস্তানের আসিফ আলী আর ক্যান্ডির অধিনায়ক ম্যাথিউস। 

১০ বলে ১৯ রানের দ্রুতগতির ইনিংস খেলে আসিফ আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন ম্যাথিউস। ১ বল এবং ৫ উইকেট বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যান্ডি। ম্যাচের সাথে সাথে জিতে যায় এলপিএলের এবারের আসরের শিরোপাটাও।

শেয়ার করুন