আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের অপপ্রচার রোধে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকটিকের সহায়তা নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এর আগে ফেসবুকের কাছ থেকেও একই সহায়তা চেয়েছে সংস্থাটি।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসির আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকারের নেতৃত্ব ওই বৈঠকে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টিকটকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি ফেরদৌস মোত্তাকিন উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি বৈঠকের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
বৈঠকসূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে নানা প্রকার অপপ্রচার বিশেষ করে বিদ্বেষ ছড়ানো, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি রোধে কাজ করবে টিকটক। এক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার পরই কাজ করতে পারে।
গত ৩ আগস্ট ফেসবুকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সেদিন বলেন, যেসব অপপ্রচার হয়, সেই অপপ্রচারগুলো কিভাবে রোধ করা যায়। বিশেষ করে ঘৃণাত্মক মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা অন্যান্য যেসব ভায়োলেশন হয়, সেগুলো তারা ডিলিট করবে, রিমুভ করে দিবে, ব্লক করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন কনটেন্টের বিষয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তফসিল ঘোষণার পর এই কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী নভেম্বরের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।
ইতোমধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন গোষ্ঠী নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে।