মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর অঙ্গীকারবদ্ধ অর্থনৈতিক মুক্তির আরেকটি মাইলফলক জাতিকে উপহার দিলেন। ১৭ আগস্ট তিনি সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করলেন। আমাদের দেশের বয়স্ক নাগরিকরা বড়ই দুঃখী। সারা জীবন কঠোর পরিশ্রম করে সন্তানদের মানুষ করেন যাঁরা, সেই তাঁরাই জীবনের শেষবেলায় কী অসহ্য যন্ত্রণা ও বিড়ম্বনার মধ্যে বাস করেন তা বলে শেষ করা যাবে না।
বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত এই প্রবীণদের সন্তানদের অনেকেই তাদের ‘নিউক্লিয়াস’ পরিবারে মা-বাবাকে জায়গা করে দিতে খুবই কুণ্ঠিত। আজকাল প্রায়ই দেখা যায়, অপাঙক্তেয় প্রবীণদের পথে-ঘাটে ফেলে রেখে চলে যায় তাঁদের সন্তানরা। যাঁরা প্রবাসী তাঁদের অবস্থাও একই রকম শোচনীয়। যতক্ষণ গায়ে শক্তি থাকে ততক্ষণ তাঁরা দিনরাত পরিশ্রম করে বিদেশি মুদ্রা আয় করেন।
প্রবাসে কী যে কষ্ট করে তাঁরা দিন কাটান তা চোখে না দেখলে বোঝা মুশকিল। অথচ তাঁদের অনেকেই প্রবীণ অবস্থায় দেশে ফিরে দেখেন যে তাঁদের মান-মর্যাদা নিয়ে বাঁচার মতো তেমন কোনো সম্পদই নেই। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পাঠানো টাকা অনুৎপাদনশীল ভোগে ভাসিয়ে দেন বলেই এই দুরবস্থা। তবে সব প্রবাসীর পরিবারই এমন তা বলা ঠিক হবে না।
কেউ কেউ আবার আধুনিক চাষবাস, মাছের খামার, গরুর খামার, ফলের চাষসহ উৎপাদনশীল কাজেও প্রবাস আয় বিনিয়োগ করেছেন। তবে আয়-রোজগার ভালো থাকলেও পরিবারগুলো এখন আর একান্ন থাকছে না। তাই কোনো দান নয়, প্রবীণদের আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচার একটি সর্বজনীন উপায়ের খুব প্রয়োজন।
এমনি এক প্রেক্ষাপটে চালু হলো সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি। আমার মতে, এটিই হবে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির পথরেখায় সবচেয়ে উজ্জ্বল মাইলফলক।
সব শ্রেণির মানুষের কল্যাণে এমন সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচি উদ্বোধনকালে ঠিকই বলেছেন যে ‘পরপার থেকে বঙ্গবন্ধু এই কার্যক্রম চালু হলো দেখে খুশি হবেন। কেননা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় তাঁর প্রিয় দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমরা সর্বজনীন পেনশন চালু করছি। এতে তাদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা থাকবে। কারো কাছে হাত পাততে হবে না।’
নিঃসন্দেহে প্রবীণদের একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনার লক্ষ্যেই বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো এমন ব্যাপকভিত্তিক এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। মূলত নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা ও সমতা দেওয়ার অভিপ্রায়েই এই পেনশন ব্যবস্থা চালু করল সরকার। আপাতত সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ চাঁদা দিয়ে এই কর্মসূচির আওতায় আসতে পারবে। সর্বজনীন পেনশনের চার ধরনের কর্মসূচি চালু হয়েছে। শিক্ষার্থী ও নারীদের লক্ষ্য করে আরো দুটি কর্মসূচি চালু হওয়ার কথা আছে। আগামী দিনে এক পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই কর্মসূচিতে একীভূত হবেন বলে আশা করা যায়। এই কর্মসূচিতে ১৮ বছর বয়সে যুক্ত হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা মিলবে। যুক্ত হতে দেরি হলে আনুপাতিক হারে সুবিধাও কমবে। যে কেউ তাঁর মোট চাঁদার দেয় কিস্তির চেয়ে সর্বনিম্ন ২.৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১২.৩১ গুণ টাকা পেনশন পাবেন। এই কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। চাঁদা পরিশোধের পর তিনি মারা গেলে তাঁর নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ১৫ বছর। গ্রাহককে নিয়মিত চাঁদা দিতে হবে অন্তত ১০ বছর। আগে মারা গেলে নমিনি পাবেন এককালীন সুবিধা। জমা টাকার ৫০ শতাংশ ঋণও পেতে পারেন একজন অংশগ্রহণকারী। মাসিক পেনশন শুরু হবে বয়স ৬০ বছর হওয়ার পর। এই কর্মসূচিতে নিবন্ধন করা যাবে ঘরে বসে। অনলাইনে। চাঁদা দেওয়া যাবে ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবার (বিকাশ, নগদ ইত্যাদির) মাধ্যমে। আপাতত সোনালী ব্যাংকের সব শাখা ব্যাংকিং সুবিধা দেবে। পরে হয়তো অন্যান্য ব্যাংকও যুক্ত হবে। যে চারটি পেনশন স্কিম চালু হয়েছে সেগুলো হলো প্রবাসীদের জন্য ‘প্রবাস’ (ন্যূনতম মাসিক চাঁদা পাঁচ হাজার টাকা), বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘প্রগতি’ (ন্যূনতম মাসিক চাঁদা দুই হাজার টাকা), কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, কামার, জেলে, তাঁতি প্রভৃতি স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য ‘সুরক্ষা’ (ন্যূনতম মাসিক চাঁদা দুই হাজার টাকা) এবং অতিদরিদ্রদের জন্য সমতা (ন্যূনতম মাসিক চাঁদা এক হাজার টাকা, যার অর্ধেক দেবে সরকার)।
নিঃসন্দেহে আমাদের অর্থনীতি সামনের দিকেই হাঁটছে। ২০২৬ সালের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উন্নয়নশীল দেশ হবে। আমাদের মানবিক উন্নয়ন সূচকগুলোও বেশ ইমপ্রেসিভ। জীবনের গড় আয়ু ৭৩ বছর ছাড়িয়ে গেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই আশা করছি। তবে একই সঙ্গে সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্যও বাড়ছে। সমাজের ভেতরে নানা রকমের রূপান্তর ঘটছে। পুরনো পারিবারিক ও আত্মীয়তার সম্পর্কগুলো এখনই বেশ ভঙ্গুর। ভবিষ্যতে তা আরো নড়বড়ে হয়ে যাবে। সেই সময়কে মাথায় রেখেই আমাদের অর্থনীতির রূপরেখা সাজাতে হবে। সেই বিচারে সর্বজনীন পেনশন স্কিমটি খুবই অগ্রসর চিন্তার ফসল। এক দিনেই এটি এই পর্যায়ে আসেনি। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে। আশপাশের দেশের অভিজ্ঞতা থেকেও বাংলাদেশ শিখেছে। অনেক ভেবেচিন্তে একটি যুগোপযোগী আইন পাস করার পর হালে এটি চালু করা হলো। দুঃখজনক হলেও সত্যি, এমন একটি মানবিক ও সুদূরপ্রসারী কর্মসূচিকে অযথা রাজনৈতিকীকরণের অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবু দল-মত-নির্বিশেষে সব স্তরের মানুষের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। কেননা এ দেশের দুঃখী মানুষ খুবই আত্মমর্যাদাশীল। তারা দান-খয়রাতের চেয়ে নিজের দেওয়া চাঁদায় একটি জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার গৌরবের অংশীদার হতে বেশি আগ্রহী। মনুষ্যত্বের গৌরব অর্জনে বেশি বিশ্বাসী। তাই তো এ দেশের প্রায় সব অর্থনীতিবিদই এই কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়েছেন। সবাই বলেছেন, জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের জন্য এটি খুবই প্রসঙ্গিক একটি উদ্যোগ। একটি ভালো খবর। কেননা সব শ্রেণির মানুষই এর আওতায় আসবে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্ধশতাধিক বছর বাদে এলো এই আধুনিক কর্মসূচি। ডিজিটাল বাংলাদেশে এমন একটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের সব ধরনের প্রযুক্তিগত অবকাঠামো এখন আমাদের হাতের পাশেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা বঙ্গবন্ধুর মানবিক উন্নয়ন দর্শনকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তিনিই আবার ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের প্রবক্তা। তাই সব পেশার, সব শ্রেণির মানুষকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় নিয়ে আসার তাঁর এই সাহসী উদ্যোগটি নিশ্চয় পদ্মা সেতুর পাশাপাশি সমহারেই বারবার উচ্চারিত হবে।
বেসরকারি চাকরিজীবী থেকে শুরু করে রিকশাচালক পর্যন্ত এ পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আমাদের প্রবাসী যাঁরা, তাঁরাও এ কর্মসূচির আওতায় থাকছেন। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এত দিন প্রবীণরা খুবই অবহেলার মধ্যে ছিলেন। এখন এ পেনশন স্কিমের আওতায় এসে তাঁদের জীবন যেমন একদিকে উন্নত হবে, তেমনি হবে আত্মনির্ভরশীল। আর যেসব প্রবাসী এত দিন দেশে টাকা পাঠিয়ে অনুৎপাদন খাতে ব্যয় করতেন, এখন তাঁরা এই পেনশন স্কিমের মাধ্যমে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। আর সরাসরি সরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকা পাঠানোর সুযোগে দেশও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। তবে পেনশনের এ টাকা কোথায় বিনিয়োগ হবে তা এখনই নির্ধারণ করা প্রয়োজন। আমি মনে করি, পেনশনের টাকার বেশির ভাগ ট্রেজারি বন্ড ও প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে সঞ্চয়পত্র আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি দ্বারা রেট করা প্রথম চার-পাঁচটি ব্যাংকের এবং ভালো মানের সরকারি ব্যাংকের মেয়াদি আমানতেও তা বিনিয়োগ করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, এই বিনিয়োগ যেন হয় সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। আর সে কারণেই দরকার সুদৃঢ় একটি জাতীয় পেনশন রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানের। অবশ্যি সংশ্লিষ্ট আইনেও এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার অনুমোদন দেওয়া আছে। আপাতত অর্থ মন্ত্রণালয়ের দুজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এই প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আমার মনে হয়, এ অন্তর্বর্তীকালীন এটিই সঠিক ব্যবস্থা। আর অস্বীকার করার উপায় নেই যে সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়টিই সবচেয়ে পেশাদারি সক্ষম বিভাগ। এখানে যথেষ্ট চৌকস কর্মকর্তা কর্মরত। তাই তাঁদের সাহায্যে আপৎকালীন এই ব্যবস্থা মন্দ হবে না। তাঁরা চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও কিছু কর্মকর্তা ধার করতে পারেন। কেননা তাঁদের রয়েছে দীর্ঘদিনের রেগুলেটরি দক্ষতা। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি স্বাধীন শক্তিশালী রেগুলেটরি সংস্থা গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম-নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কেননা এই প্রতিষ্ঠানকে বিপুল পরিমাণ অর্থের আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতে হবে। এই কর্মসূচির চাঁদা সংগ্রহ যেন সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হয় সেদিকটায় নজর রাখতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের।
কোনো অবস্থায়ই যেন এই কর্মসূচি কোনো কাজেই সামান্য আস্থাহীনতার পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। যেহেতু এরই মধ্যে এ কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিকীকরণের অপচেষ্টা চলছে, তাই এর সব কর্মকাণ্ডই হতে হবে আরো দক্ষ এবং আরো স্বচ্ছ। সে জন্য এখন থেকে খুবই পেশাদারি ‘কমিউনিকেশন’ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে খুব সহজেই অনলাইনে হিসাব খুলতে পারেন, মোবাইল আর্থিক সেবায় অর্থ জমা করতে পারেন, উপযুক্ত অ্যাপভিত্তিক চাঁদা জমা করতে পারেন, সোনালী ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় গিয়ে নির্দিষ্ট করা টেবিলে সহজেই হিসাব খুলে চাঁদা জমা দিতে পারেন এবং ওই হিসাব থেকেই প্রতি মাসে ব্যাংকই স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে গ্রাহকদের পেনশন হিসেবে টাকা জমা দিতে পারে—সেসব কথা খুবই স্মার্ট বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় যেন নিয়মিত জনগণকে বলতে থাকে সেই প্রত্যাশাই করছি। নিয়ম-নীতিসহ সব কিছুই যেন মোবাইল আর্থিক সেবাদাতাদের বিজ্ঞাপনের মতো দৃষ্টিনন্দন ও সহজ করে উপস্থাপন করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখার দরকার আছে।
কর্মসূচিটি বিষয়ে আমাদের সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা দিয়ে যেতে হবে। মূল্যস্ফীতি আরো বেড়ে গেলে কী হবে—এ বিষয়টি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করাই সমীচীন হবে। গ্রাহকদের অযথা শঙ্কিত করার দরকার নেই। মূল্যস্ফীতি সময়ের আলোকে ওঠানামা করবেই। একসময় হয়তো স্থিতিশীলও হবে। তাই বলে প্রতিবারই কিস্তি শোধ বা পেনশনের অঙ্ক বদলানোর প্রয়োজন কি সত্যি রয়েছে? পৃথিবীর কোথাও কি এই ব্যবস্থাটি এতটাই জটিল করা হয়ে থাকে? পেনশন মূলত দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির স্বল্পকালীন ওঠানামাকে বিবেচনায় নিয়ে ভীতি সঞ্চার করা মোটেও সঠিক নয়।
সব শেষে বলব, আমাদের সীমিত সম্পদের মধ্যেও সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিটি নেতৃত্বের ভবিষ্যতমুখী অগ্রসর চিন্তার একটি যুগান্তকারী ফসল। দল-মত-নির্বিশেষে এটিকে আমরা যেন ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে সাহায্য করি। একে ঘিরে কোনো আতঙ্ক বা বিভ্রান্তির প্রশ্রয় যেন না দিই। হোক না এটি সবার জন্য একটি সত্যিকার জাতীয় কর্মসূচি।
লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর