ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনকে নিয়ে মুখ খুললেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বুধবারের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যেটিতে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ছিলেন বলে দাবি করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। বিধ্বস্তের ঘটনায় সব আরোহী নিহত হয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রিগোজিনও নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে পুতিন বলেছেন, কী ঘটেছে তা অনুসন্ধান করবেন তদন্তকারীরা। তবে এতে সময় লাগবে।

তিনি বলেছেন, বুধবার ঘটনাটি তাকে বৃহস্পতিবার সকালে জানানো হয়ছে। তিন নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়েছেন। ওয়াগনার প্রধানকে একজন মেধাবী ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

পুতিন বলেছেন, আমি যতদূর জানি বুধবার আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন প্রিগোজিন। তিনি এখানে কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বুধবারে আগে কিছু দিন ওয়াগনার প্রধান পশ্চিম আফ্রিকায় ছিলেন বলে মনে করা হয়। পশ্চিমা বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, নাইজারসহ কয়েকটি দেশে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে তার বাহিনী।

ওয়াগনার রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই বাহিনী লাভজনক খনির মালিকানার বিনিময়ে সিরিয়া, মালি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র এবং লিবিয়াতে সরকার গঠনে সহায়তা করেছে।

ক্রেমলিনে খাবার সরবরাহের লাভজনক চুক্তি পাওয়ার কারণে তার ‘শেফ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া প্রিগোজিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি প্রিগোজিনকে চিনি, সেই ১৯৯০ দশকের শুরু থেকে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ছিলেন একজন জটিল ভাগ্যের ব্যক্তি এবং জীবনে অনেক বড় ভুল করেছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ফলাফল অর্জন করতে চেয়েছিলেন-নিজের জন্য এবং যখন আমি তাকে কিছু করতে বলতাম।

বিধ্বস্তে উড়োজাহাজে প্রিগোজিনের ডান হাত বলে পরিচিত দিমিত্রি উটকিন এবং ওয়াগনার গ্রুপের অপর পাঁচ সদস্য ও তিন ক্রু ছিলেন।

পুতিন স্বীকার করেছেন, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে ওয়াগনার কোম্পানির সদস্যরা এতে ছিলেন। আমি উল্লেখ করতে চাই, ইউক্রেনে নব্য নাৎসিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই মানুষেরা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা স্মরণ করি এবং জেনে রাখুন আমরা কখনও তা ভুলব না।

পুতিন প্রায় সময় প্রতিবেশী ইউক্রেনে নব্য-নাৎসিদের উপস্থিতির কথা দাবি করে আসছে। এর মাধ্যমে ইউক্রেনে আক্রমণের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন তিনি। কিন্তু পশ্চিমারা তার দাবি ভুল বলে প্রমাণিত করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজেই একজন ইহুদি।

শেয়ার করুন