ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সংঘর্ষের মহড়া দিয়েছেন দুই ইউনিয়নবাসী। এসময় দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় অন্তত ৫ জন আহত হন। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার শিমুল বাজারসহ আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানাপুলিশ; ঘারুয়া, কালামৃর্ধা ও আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রচেষ্টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২০ আগস্ট) আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ চলাকালে পাতরাইল গ্রামের কয়েকজন যুবক পুকুরপাড় গ্রামের চারজনকে মারধর করেন। এর সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পাতরাইল গ্রামের পক্ষ হয়ে কালামৃর্ধা ইউনিয়নের লোকজন এবং পুকুরপাড় গ্রামের লোকজনের পক্ষে আজিমনগর ইউনিয়নবাসী সমর্থন দেন।
এসময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ব্যান্ডপার্টির বাদ্য বাজিয়ে দুই ইউনিয়নবাসীর পক্ষে হাজার হাজার সমর্থক লাঠিসোটা, রামদা, খুন্তা-কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেন এবং মহড়া দেন। পরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। তবে স্থানীয় তিন ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের সহযোগিতায় বড় ধরনের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আজিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান হাউলাদার বলেন, কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরে দুই পক্ষের লোকজন যার যার বাড়িতে ফিরে গেছেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুইপক্ষ সংঘর্ষের প্রস্তুতি ও মহড়া দেয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।