ভারত ও চীন তাদের বিরোধপূর্ণ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন সিনিয়র ভারতীয় কর্মকর্তা। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনায় বসেন।
বেইজিং জানিয়েছে, মোদির অনুরোধে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর বিবিসির।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে।
হিমালয় অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) ৩৪৪০ কিলোমিটার (২১০০ মাইল) দীর্ঘ সীমান্তে একে অপরের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হচ্ছে দুটি বিশ্বশক্তি।
শি ও মোদি জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে দেখা করেন।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, উভয় পক্ষই এলএসি বরাবর সৈন্যদের প্রত্যাহার করার জন্য প্রচেষ্টা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখা এবং ভারত-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য এলএসি পর্যবেক্ষণ ও সম্মান করা অপরিহার্য,’ কোয়াত্রা বলেন।
‘এই বিষয়ে দুই নেতা তাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত বিচ্ছিন্নকরণ এবং উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টা জোরদার করার নির্দেশ দিতে সম্মত হয়েছেন’ যোগ করেন বিনয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই নেতার বর্তমান চীন-ভারত সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য প্রশ্নে খোলাখুলি ও গভীরভাবে মতবিনিময় হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জোর দিয়ে বলেছেন যে চীন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি দুই দেশ ও জনগণের সাধারণ স্বার্থে কাজ করে এবং এটি বিশ্ব ও অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্যও সহায়ক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দুই পক্ষের তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখা উচিত এবং সীমান্ত সমস্যাটি যথাযথভাবে পরিচালনা করা উচিত যাতে যৌথভাবে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি রক্ষা করা যায়।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার মতে, দুই নেতা যখন একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন তখন আশপাশে কোনো দোভাষী বা নোট গ্রহণকারী ছিল না।
২০২২ সালে জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে শি এবং মোদী শেষ কথা বলেছিলেন। শি ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে আয়োজিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ভারতে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।