কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। কাউনিয়া পয়েন্টে পানি কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার (২৬ আগস্ট) সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রাতে কাউনিয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত দুদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, গঙ্গাধরসহ ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৪০ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্ট ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রাজারহাট উপজেলার গতিয়াশাম এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল মালেক বলেন, রাস্তা তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া বের হওয়ার উপায় নাই। শনিবার বিকেল থেকে হাঁটু পানিতে চলাফেরা করলেও রাতে ঘরে পানি ঢুকেছে। ছেলেমেয়ে নিয়ে সারারাত জেগে ছিলাম।
উপজেলার চর বিদ্যানন্দ এলাকার বাসিন্দা মোছা. আছমা পারভীন বলেন, ঘরে পানি উঠেছে। রান্না করার মতো পরিবেশ নাই। কলসির গলায় বৃষ্টি পড়ছে। যে হারে পানি বাড়ছে বাচ্চাদের নিয়ে কই যাবো-চিন্তায় কুল পাচ্ছি না।
খিতাব খাঁ ইউনিয়নের মো. আশরাফ মিয়া বলেন, হঠাৎ পানি বাড়ায় আমার ২০ হাজার টাকার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। প্রায় দুই বিঘা জমিতে থাকা আমন ধান তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি না নামলে আমরা খুবই বিপদে পড়বো।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্যসহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।