আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ঘিরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতার চেয়ার থেকে হটাতে একাট্টা ভারতের ২৬ বিরোধী রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত— ইন্ডিয়া জোট। তবে ক্ষমতাসীন বিজেপির ‘মহাজোট’ (এডিএ) আত্মবিশ্বাসী। সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপের ইতিবাচক ফলাফলে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে গেরুয়া শিবির।
মোদি ‘ম্যাজিক’ নাকি ইন্ডিয়া জোটের চমক
সাম্প্রতিক বেশ কিছু জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, নির্বাচনি বছরের শুরুতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৭২ শতাংশ মানুষ মোদিতে খুশি ছিলেন। চলতি আগস্ট মাসের আগে এসে জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভাটা পড়ে। যা ৯ শতাংশ কমে ৬৩তে নেমে আসে। সর্বশেষ ইন্ডিয়া টুডে ও সি ভোটারের জরিপে মোদির জনপ্রিয়তা আরেকটু কমেছে। তবে এখনো দেশের ৫২ ভাগ মানুষ মোদিকে আবারও প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে দেখতে চান। রেডলাইনে দাঁড়িয়ে ‘মহাজোট’ কিছুটা স্বস্তি অনুভব করলেও ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ইন্ডিয়া জোট।
ভোটের আগে কি ফিকে হয়ে যাবে মোদি ম্যাজিক?
দ্য মুড অব নেশন পোলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এইসময় খবর প্রকাশ করেছে, মোদির জনপ্রিয়তা এখনো অটুট তবে স্থায়ী নয়। মোদি ম্যাজিক ফিকে হবে, যদি বিরোধী জোটে শক্তি বাড়ে। ওপর এক জরিপের বরাত দিয়ে ভারতীয় এই সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, দেশের ৪৪ শতাংশ মানুষ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেবেন শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদির কারণে। এর দুটি কারণ— উন্নয়ন ও হিন্দুত্ব।
মোদি বিরোধী জোটের প্রধান মুখ রাহুল না মমতা?
প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে দেশের ১৬ শতাংশ মানুষ রাহুল গান্ধীকে দেখতে চান। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও মোদি বিরোধী শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। তাই ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান মুখ কে হতে চলেছেন? তবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। বিরোধী জোটের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। আগামী ৩১ আগস্ট আবারো বৈঠকে বসছে ইন্ডিয়া জোট। সেখান থেকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসবে কিনা? সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
