উচ্চ আদালতের নির্দেশে ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সারাতে শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি)।
আজ মঙ্গলবার বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা ই রাকিব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খন্দকার রেজা ই রাকিব বলেন, হাইকোর্ট গতকাল তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গতকালই অনুমতি পেয়েছি। বিটিআরসির একটি টিম তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন থেকে অপসারণের কাজ শুরু করেছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে তারেকের সব বক্তব্য অনলাইন থেকে অপসারণ সম্ভব হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টেরসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
এখন শুধু হাইকোর্টের আদেশের সত্যায়িত কপির জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানান এই আইনজীবী।
গতকাল সোমবার সব ধরনের সামাজিক মাধ্যম থেকে তারেক রহমানের সকল বক্তব্য সরানোর নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা তারেক রহমানের সকল বক্তব্য সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আরেকটি আবেদন করেন আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা।
আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা জানিয়েছিলেন, বিটিআরসি যাতে সব মাধ্যম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরিয়ে নেয় আবেদনে এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে তাঁর বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। কিন্তু এরপরও সব মাধ্যমে ইদানিং তাঁর বক্তব্য প্রচারিত হচ্ছে। তাই এ নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর নির্দেশনা চেয়ে আবেদনতারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর নির্দেশনা চেয়ে আবেদন
এ ছাড়া এর আগে বক্তব্য প্রচার কেন বন্ধ করা হবে না জানতে চেয়ে দেওয়া রুলটি শুনানির জন্য রয়েছে।
এরইমধ্যে গতসপ্তাহে বিএনপির আইনজীবীরা রুলে পক্ষভুক্ত হতে চাইলে তা নাকচ করেন হাইকোর্ট। পলাতক ব্যক্তি পক্ষ হতে পারে না বলে আদালত এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা গনমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করেন। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুল দেয় হাইকোর্ট। ৮ বছর পর সেই রুলের শুনানি করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রিটকারি আইনজীবী।