আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়া দিল্লিতে দুই দিনব্যাপী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ করেছে ভারত।
ভারত বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় বলে এ অঞ্চল থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জি-২০ সম্মেলন: ঢাকা থেকে নয়া দিল্লি’ শীর্ষক এক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা জানান ভারতীয় হাইকমিশনার।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বকে বলার অনেক কিছু আছে। বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন সাফল্য রয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ করেছে। কারণ বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় ভারত।
হাইকমিশনার বলেন, এমন এক সময়ে সম্মেলন হতে যাচ্ছে যখন ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথেরও কথা শুনতে চায় ভারত। আমরা বাংলাদেশের সহযোগিতা চাই। আফ্রিকার দেশগুলো কী বলে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কী বলে, শুনতে চায় ভারত।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালী আধ্যায়ে আরও একটি পালক যোগ করবে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ জি-২০ সম্মেলনে অর্থবহ অবদান রাখতে পারবে।
চলমান বৈশ্বিক সংকটের বহুমাত্রিক সমাধানে জি-২০ অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে উন্মুখ বলে জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়নের অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত কণ্ঠস্বর। তিনি প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে কথা বলেন।
মোমেন বলেন, জি-২০ প্রেসিডেন্সির একটা গুরত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, গ্লোবাল সাউথের সমস্যা নিয়ে আসা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি মুখপাত্র। বাংলাদেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্লোবাল সাউথের জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।
সেমিনারে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনও বক্তব্য দেন।