ঋণের আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিলো শ্রীলঙ্কা

মত ও পথ ডেস্ক

চরম অর্থনৈতিক সংকটক পড়ে শ্রীলঙ্কা। ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশটিকে ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল বাংলাদেশ। বিভিন্ন অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল সেই ঋণ ফেরত আসা নিয়ে। তবে দেরিতে হলেও সেই ঋণ পরিশোধ করা শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা।

কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতির আওতায় নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার বা ২০ কোটি ডলারের ঋণের আরও ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ডলার বাংলাদেশকে ফেরত দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এ অর্থ ফেরত দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত ২১ আগস্ট প্রথম কিস্তিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেয় দেশটি।

universel cardiac hospital

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণের আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার ফেরত এসেছে। গত ২১ আগস্ট এসেছিল ৫০ মিলিয়ন ডলার। শ্রীলঙ্কার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়, আশা করা যায় বাকি অর্থও যথাসময়ে ফেরত দেবে দেশটি।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়ে চার কিস্তিতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেয় বাংলাদেশ। কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতির আওতায় এ ঋণ দেওয়া হয়েছিল দেশটিকে। দেশটিকে দেওয়া একবছর মেয়াদি ঋণের মেয়াদ শেষ হয় গত বছর সেপ্টেম্বরে। পরে তাদের আবেদনের পরিপেক্ষিত তিন মাস করে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। ঋণের বিপরীতে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেট (লাইবর) যোগ দেড় শতাংশ সুদ পাচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৫ কোটি ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় দফায় ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয় ৩০ অক্টোবর। আর একই বছরের নভেম্বরে ৫ কোটি ডলার দেওয়া হয় দেশটিকে। এক বছরের ঋণ চুক্তির আওতায় গত বছরের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা। তবে নাজুঁক অবস্থায় থাকায় নির্ধারিত সময়ে ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় দেশটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবমতে, ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বর্তমানে দেশের রিজার্ভ আছে ২ হাজার ৯২০ কোটি ডলার (২৯.২০ বিলিয়ন) ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি মতে, দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৩০৬ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলারে। এ রিজার্ভ দিয়ে ৪ মাসের মতো আমদানি দায় (প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে) মেটানো যাবে।

শেয়ার করুন