প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার পর্যবেক্ষণে আগ্রহী তারা। তাই বাংলাদেশে আসতে সরকারের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, ওনাদের (ওবামা ও হিলারি) জানানো হয়েছে, ওনারা এ ইন্টারভিউ সম্পর্কে জেনেছেন; কিন্তু ওনাদের আসতে হলে তো বিচার শেষ করে দিয়ে ডাকলে হবে না।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যে মামলাটা ক্রিমিনাল মামলা, যে মামলাগুলো নিয়ে বক্তব্য আনা হয়েছে, ওনারা এসে যদি দেখেন তাহলে তো ওনারা বুঝতে পারবেন যে, এ মামলার ভেতরে কোনো সারবস্তু নাই।
এই আইনজীবী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৬৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে; যার মধ্যে দুটি ফৌজদারি ও বাকিগুলো শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা।
তিনি আরও বলেন, গত ৩০ আগস্ট রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রামীণ ব্যাংক এক চিঠিতে ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্রামীণ কমিউনিকেশনকে জানায়, তাদের সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করা হবে না। এ ঘটনায় এবার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সাড়ে ৯শ শ্রমিকের মামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আত্মবিশ্বাস না থাকায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধানমন্ত্রী বিবৃতিদাতাদের ড. ইউনূসের মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আদালতকে ভয় পেলে চলবে না। আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনো বিবৃতিতে প্রভাবিত হবে না। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা আইন অনুযায়ী চলবে।
বিবৃতিদাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিবৃতি না দিয়ে বিশেষজ্ঞ পাঠান, আইনজীবী পাঠান। দলিল-দস্তাবেজ, কাজগপত্র ঘেঁটে দেখুন অন্যায় আছে কিনা। সবকিছুই আইন মতো চলে।