এশিয়া কাপে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ জিততেই হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এই ম্যাচেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করলো টাইগাররা। মেহেদি হাসান মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ৩৩৫।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য সহায় ছিল সাকিব আল হাসানের। প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওপেনিংয়ে চমক। নাইম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪৭ বলে জুটিতে ফিফটি পূরণ করেন এই দুজন। ১০ ওভারে হয় ৬০ রানের জুটি। নাইম শেখকে বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। নাইম ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেন ২৮ রান।
পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে তিন নম্বরে নামেন তাওহিদ হৃদয়। সুবিধা করতে পারেননি। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয় (০)। তার উইকেটটি নেন গুলবাদিন নাইব।
ব্যাটিংটা তিনি ভালোই পারেন। ওয়ানডেতে আছে সেঞ্চুরিও। তবে দলের প্রয়োজনে নিচের দিকেই বেশিরভাগ ব্যাটিং করতে হয় মেহেদি হাসান মিরাজকে। আবার দলের প্রয়োজনে ওপেনিংয়ে নেমেও অতীতে করেছেন বাজিমাত।
আরও একবার মিরাজ সুযোগ পেলেন ওপেনিংয়ে। ১০ ওভার পার করে ওপেনিংয়ে শুধু ৬০ রানের জুটি গড়াই নয়; মিরাজ হাঁকিয়েছেন দুর্দান্ত এক ফিফটি। ৬৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এটি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি।
নাজমুল হোসেন শান্তও তার দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছেন। আগের ম্যাচে চাপের মুখে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন শান্ত।
আফগান বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছেন মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনিংয়ে নেমে মিরাজ করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ১১৫ বলে। এরপর শান্তও ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার।
তার আগেই অবশ্য উঠে গেছেন মিরাজ। শান্তর সঙ্গে জুটিতে ১৯৪ যোগ করে রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংসে মিরাজ ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৩টি ছক্কা।
মিরাজ উঠে যাওয়ার পরপরই সেঞ্চুরি পূরণ করেন শান্ত। ১০১ বলে শতরান ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। শান্তর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি এটি। তার দুর্দান্ত ইনিংসটি সমাপ্তি হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে।
এক রান নিতে গিয়ে মাঝপথে চলে গিয়েছিলেন শান্ত। ফেরার সুযোগ পাননি। পা পিছলে পড়ে যান মাঝ পিচে। ১০৫ বলে শান্তর ১০৪ রানের ইনিংসটি ছিল ৯ চার আর ২ ছক্কায় সাজানো।
এছাড়া মুশফিক ১৫ বলে ২৫, সাকিব শেষদিকে নেমে ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ আর শামীম পাটোয়ারী ৬ বলে করেন ১১ রান।