ভাগনারকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করবে যুক্তরাজ্য

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী রুশ প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করবে যুক্তরাজ্য। এ বিষয়ে আজ বুধবার পার্লামেন্টে একটি খসড়া আদেশ পেশ করা হবে। সেটি পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে ভাগনারের সদস্য হওয়া বা ভাগনারকে সমর্থন করা অবৈধ হয়ে যাবে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

যুক্তরাজ্যের হোম অফিস বলেছে, ভাগনারের কার্যকলাপের প্রকৃতি ও মাত্রা এবং বিদেশে ব্রিটিশ ‘নাগরিকদের জন্য তাদের হুমকির কারণে’ সন্ত্রাস আইন ২০০০-এর অধীনে গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্রাভারম্যান বলেছেন, ‘ভাগনার একটি সহিংস ও ধ্বংসাত্মক সংগঠন। এটি বিদেশে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার সামরিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভাগনার লুটপাট, নির্যাতন ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় এর কার্যক্রম বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই আমরা এই সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করছি এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে যেখানেই পারি সাহায্য করে যাচ্ছি।’

ভাগনার একটি বেসরকারি রুশ ভাড়াটে বাহিনী। ক্রেমলিনের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় এটি গড়ে তুলেছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। গ্রুপটির সদস্যের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এদের অনেকেই রুশ নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক সদস্য।

ভাগনারপ্রধান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোজিনের।

গত জুনে তিনি রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বল্পস্থায়ী সশস্ত্র বিদ্রোহ করেছিলেন। ওই বিদ্রোহ পুতিনের ২৩ বছরের শাসনামলের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল। পরে পুতিনের ঘনিষ্ঠ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় মস্কো অভিমুখে যাত্রা স্থগিত করেন প্রিগোজিন। এর মাত্র দুই মাস পরে গত ২৩ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ভাগনারপ্রধান।

শেয়ার করুন