প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রায় রুখে দিচ্ছিল ইকুয়েডর। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুতেই ঘরের মাঠে খেলতে নেমে হঠাৎই যেন ছন্দপতন আর্জেন্টিনার। সতীর্থদের বারবার উজ্জ্বীবিত করছিলেন লিওনেল মেসি।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ফ্রি-কিক থেকেই দারুণ এক গোলে ডেডলক ভাঙে আকাশী-সাদারা। শুক্রবার আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্সে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়ে আরেকটা বিশ্বকাপ অভিযানে শুভ সূচনা পেল মেসি বাহিনী।
লম্বা সময় পর আবারও মাঠে নামে আকাশী নীল-সাদার আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপের পর চার ম্যাচ খেললেও এর সবই ছিল প্রীতি ম্যাচের অধীনে। সেই অর্থে, বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এটাই ছিল আর্জেন্টিনার প্রথম বড় পরীক্ষা।
ঘরের মাঠে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভালোই পরীক্ষা নিয়েছে লাতিন আমেরিকান আরেক প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। যদিও বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনাই। তবে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার একটি শটও অন টার্গেট ছিল না। নিজেদের প্রতিরোধের দেয়ালও ধরে রাখতে সমর্থ হয় ইকুয়েডর।
প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলবারে ব্যর্থতার পর দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে আরও ধার বাড়ায় বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ফলাফলও আসে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে। ৭৮তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে বিপজ্জনক জায়গায় লাওতারো মার্টিনেজকে ফাউল করে বসেন ইকুয়েডরের এক ফুটবলার।ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার এমন পজিশন থেকে ফ্রি কিকে গোল করেছেন মেসি। আজও জাল খুঁজে পেতে ভুল হলো না।
মেসির দুর্দান্ত গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা। আর তাতে উল্লাসে মাতে পুরো বুয়েন্স আয়ার্স। আর এরই মধ্য দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম গোল পেলেন মেসি।
এরপর ম্যাচের বাকি অংশটুকুতেও দাপট দেখিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে মেসিকে উঠিয়ে নেন আর্জেন্টিনা কোচ স্ক্যালোনি। আর তখন মেসি ক্যাপ্টেন্সির ব্যান্ডটা পরিয়ে দেন সদ্য অবসরের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া ডি মারিয়ার হাতে।
ম্যাচের বাকি সময়টাতে আর গোল না হওয়ায় ১-০ গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচ বলিভিয়ার বিপক্ষে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ২ টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।