মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদলীয় সমর্থক প্রার্থী পিএনসি-পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির নেতা মোহাম্মদ মুইজু সরকারদলীয় প্রার্থী ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। খবর এএফপির। আল-জাজিরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়। এতে দেখা যায়, ৪৫ বছরের মুইজু প্রদত্ত ভোটের ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে সলিহ পেয়েছেন ৪০ শতাংশ ভোট।
শনিবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে টানা আট ঘণ্টা পর্যন্ত তা চলে। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আট প্রার্থী। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে সলিহর সঙ্গে মোহাম্মদ মুইজুরের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।
দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের ১১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। ইয়ামিনের জায়গায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুইজু। ৫৭৪টি বুথে ভোট গ্রহণ চলে। এর মধ্যে এক-চতুর্থাংশ বুথই রাজধানী মালেতে।
মালের আমিনিয়া স্কুল ভোটকেন্দ্রে নিযুক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, ভোট গ্রহণ শুরুর আগে থেকেই ভোটাররা সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা শুরু করেন। এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৮২ হাজার। মালদ্বীপে কারাবন্দীদেরও ভোট দেওয়ার বিধান আছে। তবে রাজনৈতিক বন্দী, যেমন বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন ভোট দিতে পারবেন না।
নির্বাচনের প্রার্থীরা হলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ, মালদ্বীপ ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) চেয়ারপারসন মোহাম্মদ নাজিম, পিপিএম অ্যান্ড পিএনসি-পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির নেতা মোহাম্মদ মুইজু। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উমর নাসির, আহমেদ ফারিস মামুন ও হাসান জামিল।
মালদ্বীপ দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বীপদেশ। ২০০৮ সালে বহুদলীয় ব্যবস্থা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এত বেশি প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।