‘মূল্যস্ফীতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ফলে শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে।’

সোমবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।

এ সময় মন্ত্রী সরকারের বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা সংসদে তুলে ধরেন। এরমধ্যে মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, রিজার্ভ পুনর্গঠনের জন্য সঠিক মূল্যে পণ্য আমদানি নিশ্চিত করা, বাণিজ্যিক ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা ধারণের সীমা হ্রাস করা হচ্ছে। এছাড়া ৫ হাজার ডলারের বেশি প্রবাস আয়ের উৎস প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা বাতিল করা হয়েছে। পাইপলাইনে থাকা বৈদেশিক অর্থায়ন ছাড়করণ ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।

জামালপুর-৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রুগ্ন শিল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য ২০০৯ সালে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠিত হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১০ ও ২০১২ সালে ২৭৯টি রুগ্ন গার্মেন্টস এবং ২০১১ ও ২০১৫ সালে ১০০টি রুগ্ন টেক্সটাইল শিল্পের ঋণ বিলুপ্তের সার্কুলার জারি করে।

ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে কৃষি ও পল্লি ঋণ খাতে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ঋণ আকারে বিতরণের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে।

মোবাইল কলরেট পুনর্নির্ধারণ হবে না

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমান প্রচলিত মোবাইল কলরেট মার্কেট পর্যালোচনা, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। আপাতত কলরেট পুনর্নির্ধারণের কোনও পরিকল্পনা নেই।

বর্তমানে সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলোকে একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজ বা অফার বা বান্ডেলে অন-নেট এবং অফ-নেটের ভয়েস কলের ক্ষেত্রে ট্যারিফের মধ্যে প্যাকেজ ডিজাইন করতে হয়। সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকা হলেও অপারেটরগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১ টাকা মিনিটের কম রেটে বিভিন্ন প্যাকেজ ডিজাইন করে থাকে।

নওগাঁ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানান, দেশে ৪টি মোবাইল কোম্পানি পরিচালিত হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানিগুলো সরকারকে ৩ হাজার ১৭৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা রাজস্ব পরিশোধ করেছে।

শেয়ার করুন