বিজেপি ভোটের মেরুকরণ করে। বিদ্বেষ ছড়ায়। বিভাজন তৈরি করে। ধনী মুনাফাখোর শিল্পপতিরা বিজেপিকে আর্থিক মদত দেয়। বিজেপির পেছনে এই পরিকাঠামোটি কাজ করে। নরেন্দ্র মোদি এই পুরো কাঠামোটা চালাচ্ছেন, এটা বলা অতি সরলীকরণ। আসলে নরেন্দ্র মোদি এই গোটা কাঠামোর একটি যন্ত্র। আমি নিশ্চিত, আরএসএস পরিবার চাইলে পাঁচ মিনিটে নরেন্দ্র মোদিকে সরিয়ে দিতে পারে।
ইউরোপ সফরে গিয়ে প্যারিসের সায়েন্সেস পিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী মূলত মোদির সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
রাহুলের বক্তব্য, আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির গভীর সম্পর্ক এখন সুপ্রতিষ্ঠিত। আদানি গোষ্ঠী ভারতের বাইরে টাকা পাচার করছে। নিজেদের সংস্থার শেয়ার দরে কারচুপি করে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলছে। সেই টাকায় ভারতের সমস্ত সম্পত্তি দখল করেছে।
কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই রাহুল বলেছেন, আদানিরা ছাড় পাবেন না। তাদের জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে ভারতে যারা সংখ্যালঘু, দলিতদের উপরে হামলা চালাচ্ছে, যারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিচ্ছেন, তাদের সম্পর্কেও রাহুল বলেছেন, যারা ভারতের অন্তরাত্মার উপরে আঘাত করছেন, তাদের মূল্য চুকাতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ ফের এই কাজ করার আগে ভাবনাচিন্তা করে।
দলিত-সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলাকে ভারতের ‘সব চেয়ে বড় সমস্যা’ আখ্যা দিয়ে রাহুল বলেন, মোদি চাইলে যে কোনো সময়ে ধর্ম নিয়ে ছাতি ঠোকা, দলিত-সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা বন্ধ করে দিতে পারেন। তিনি বলেন, আমি গীতা পড়েছি। উপনিষদ পড়েছি। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়েছি। বিজেপি যা করে, তার মধ্যে কোনো হিন্দুত্ব নেই। কোনো বইয়ে লেখা নেই, দুর্বলকে তুমি ভয় দেখাও, আঘাত করো। হিন্দু জাতীয়তাবাদী বলে কিছু হয় না। ওরা আসলে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।