একাদশ শ্রেণিতে দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির আবেদন শেষ হচ্ছে আজ। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা পর্যন্ত নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৫০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। আবেদনের সময়ও একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রমে দিতে পারবেন।
এদিকে, দ্বিতীয় ধাপে আবেদনের ফল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করা হবে। নির্বাচিতরা ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক নিশ্চায়নের সুযোগ পাবেন। এরপর ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। ওই ধাপের ফল ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে। ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ধাপের প্রাথমিক নিশ্চায়ন চলবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ ধাপে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৩ শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছেন প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ শিক্ষার্থী। প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন ১২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯৭ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু তাদের মধ্যে নির্বাচন নিশ্চায়ন করেছেন ১০ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৭ জন। অর্থাৎ প্রথম ধাপে কলেজ পেয়েও নিশ্চয়ন করেননি ২ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
৩ লাখ শিক্ষার্থী এখনো ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে
এসএসসি পাস শিক্ষার্থী এবং এ পর্যন্ত আবেদন বা নিশ্চায়ন করা শিক্ষার্থীর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এখনো প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে। তাদের দ্রুত আবেদন করার পরামর্শও দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
কমিটি সূত্র জানায়, এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেন প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ শিক্ষার্থী। তার মধ্যে কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখের কিছু বেশি। বাকি সাড়ে ১৫ লাখ শিক্ষার্থীকে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে একাদশে ভর্তি হওয়ার কথা। প্রথম ধাপে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৭ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে কলেজ পেয়েছেন ১২ লাখ ৬১ হাজার। আর ভর্তি হবেন বলে নিশ্চিত (নিশ্চায়ন) করেছেন ১০ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী। আর দ্বিতীয় ধাপে এ পর্যন্ত আবেদন করেছেন দুই লাখের মতো শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে সবমিলিয়ে সাড়ে ১২ লাখের মতো শিক্ষার্থী এখন ভর্তি প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। বাকি ৩ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন অথবা নিশ্চায়ন করেননি।
বিষয়টি কিছুটা উদ্বেগের বলেও জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপে তো ভেবেছিলাম আরও বেশি আবেদন আসবে। সবাই এ ধাপে সেরে ফেলে আবেদনের কাজটা। এখনো আড়াই-তিন লাখ শিক্ষার্থী আবেদন-নিশ্চায়নের বাইরে কেন, তা বুঝতে চেষ্টা করছি।’
তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আশা করি- তারা দ্বিতীয় ধাপের শেষ দিনে আজ এবং তৃতীয় ধাপে আবেদন করে ফেলবে। সবাই কলেজ পাবে এবং উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যয়ন করবে।’