কাগজে-কলমে এশিয়া কাপের স্বাগতিক পাকিস্তান। আবার খেলা হচ্ছে শ্রীলঙ্কার মাঠ কলম্বোতে। আজকের ম্যাচে তাই দুটি দলই এক রকম স্বাগতিক! তবে খেলা যখন প্রেমাদাসায়, তখন গ্যালারি লঙ্কার সঙ্গেই থাকবে।
সেখানে হিসাবটা অবশ্য পরিষ্কার, এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচে আজ যে জিতবে, রোববার ভারতের সঙ্গে ফাইনালে সেই মুখোমুখি হবে। তবে ম্যাচের হিসাবটা বোধ হয় এত সহজে হচ্ছে না।
এমনিতে র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে থাকা বাবর আজমরা ৮ নম্বরে থাকা দাসুন শানাকাদের চেয়ে যথেষ্ট এগিয়ে। তাছাড়া দলের পেস শক্তি নিয়ে পাকিস্তান যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসীও।
কিন্তু সমস্যাটা তৈরি হয়েছে তাদের এখানেই। কাঁধের চোটে এশিয়া কাপ থেকেই ছিটকে গেছেন নাসিম শাহ। তার বদলে আজ দেখা যেতে পারে জামাল খানকে। আরেক পেসার হারিস রউফেরও রয়েছে ইনজুরি। ভারতের সঙ্গে আগের ম্যাচে শাহিন আফ্রিদিও হালকা চোট পেয়েছেন। সেখানে ভারতের সঙ্গে হারলেও লঙ্কান ড্রেসিংরুমে কিন্তু কোনো ক্লান্তি বা চোটের সমস্যা নেই। বরং ভারতের বিপক্ষে লঙ্কানরা দুনিত ভেল্লালাগের মতো এক নতুন অলরাউন্ডার অস্ত্র হাতে পেয়েছে।
সব মিলিয়ে তাই আজ এক জমাট ম্যাচেরই আশা করা যেতে পারে। অবশ্য বৃষ্টি যদি তাতে বাদ না সাধে। আবাহাওয়া রিপোর্ট বলছে, আজও সন্ধ্যার পর ৭০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
যদি বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়, তাহলে আবার রানরেটে এগিয়ে থাকায় ফাইনালে উঠে যাবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।
এমনিতে দু’দলের শেষবার দেখা হয়েছিল গত জুলাইয়ে লঙ্কার মাটিতেই। তবে সেটা ছিল টেস্ট সিরিজ, ওয়ানডেতে সর্বশেষ মুখোমুখি হয় তারা প্রায় চার বছর আগে করাচিতে। ওয়ানডেতে শেষ আটবারের দেখাতেই জয় পেয়েছিল পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে জয় পেয়েছিল সেই ২০১৫ সালে কার্ডিফে। তাই পরিসংখ্যান আর ইতিহাস পাকিস্তানের সঙ্গেই থাকছে। এখন প্রেমাদাসার পিচ কার সঙ্গে থাকে, সেটাই দেখার। কেননা, এই মাঠে সুপার ফোরের ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত সাড়ে তিনশর ওপর রান তুলেছিল। এবার সেই ভারতকেই শ্রীলঙ্কা তাদের স্পিন ছোবলে ২১৩ রানে অলআউট করে দেয়। আবার সেই ভারতই তাদের পেস ও স্পিন দিয়ে ১৭২ রানের মধ্যে গুটিয়ে দেয়। অর্থাৎ রহস্যঘেরা প্রেমাদাসার পিচে সবকিছুই সম্ভব।