পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী ‘ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো’র (এনএবি) দায়ের করা মামলাগুলো সচল হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ এক রায়ের ফলে এসব মামলা সচল হওয়ার পথ খুলল। খবর জিও নিউজের।
দুর্নীতিবিরোধী আইনে আনা সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। সংশোধনীগুলোকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে গতকাল ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
এনএবি আইনে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) জোট সরকারের আনা সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে ২০২২ সালে আদালতে আবেদন করেছিলেন ইমরান খান। প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে বিচারপতি মনসুর আলী শাহ ও বিচারপতি ইজাজুল আহসানের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ পিটিআই প্রধানের আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। এই আইনে আনা ১০টি সংশোধনীর ৯টিই গতকাল বাতিল ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট। তবে এ আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিচারপতি মনসুর শাহ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বন্ধ হয়ে যাওয়া ৫০ কোটি রুপির কমের সব দুর্নীতি মামলা সচল করার আদেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। কারণ, সংশোধনীগুলো বাতিল ঘোষণা করায় দেশটির অনেক শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিককে আবারও দুর্নীতিবিরোধী আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হতে পারে।
রায়ে নওয়াজ শরিফ, জারদারি ও গিলানির বিরুদ্ধে হওয়া তোশাখানা (রাষ্ট্রীয় উপহার–ভান্ডার) মামলা সচল করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি বিরুদ্ধে হওয়া এলএনজি টার্মিনাল মামলা এবং রাজা পারভেজ আশরাফের বিরুদ্ধে হওয়া ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মামলাও সচল হচ্ছে।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের মামলাও সচল হবে। সব কটি মামলারই শুনানি হবে এনএবি আদালতে।