প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে বিকৃত করার বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশের জনগণই আগামীতেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, একজন শিল্পীর চিত্রকলা হৃদয় দিয়ে বোঝা যায়। তা একই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে এবং চেতনাকে জাগ্রত করে।
তিনি আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই চেতনায় বাংলাদেশের মানুষ জাগ্রত হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে তারা আগামীতে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদের নির্বাচিত চিত্রকর্ম নিয়ে ‘১৯৭৩-২০২৩ রেট্রোস্পেকটিভ’ শীর্ষক বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্রকর্মের প্রদর্শনীকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি বাংলাদেশের প্রকৃতি, দেশের জনগণের অবস্থা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জনগণ, বিশেষ করে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের সামনে তুলে ধরছে। তিনি আরো বলেন, জনগণ এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে শিল্পীর অনুভূতি জানার পাশাপাশি তাঁর অনেক দুর্লভ চিত্রকর্ম দেখার সুযোগ পাবেন।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাসব্যাপী প্রদর্শনীর সফলতা কামনা করে তিনি বলেন, শাহাবুদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধা। মনে হয়, তিনি এখনও একজন মুক্তিযোদ্ধা। কারণ, তাঁর শিল্পকর্ম মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা ও চেতনাকে প্রতিফলিত করে, যা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কারণ, তিনি তাঁর শিল্পকর্ম ও চিত্রকর্মের মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। তিনি প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত চিত্রকর্মগুলোও পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ‘শাহাবুদ্দিন, এ রেট্রোস্পেকটিভ ১৯৭৩-২০২৩’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।