বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো কারাবন্দি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়ল। গত ১২ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হলেও সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ ব্যাপারে জানা যায়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগের মতো খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুটি শর্তে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়ে এ সংক্রান্ত ফাইল আইন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওইদিন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ৯ আগস্ট মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ের দিনই খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়। একই বছর ৩০ অক্টোবর মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করা হয়। বাসায় থেকে তাকে চিকিৎসা করানোর অনুমতি দেয় সরকার।