৬০০ ইউনিট নিয়ে সভা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়
ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬০০ ইউনিট কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করবে আওয়ামী লীগ। অক্টোবর মাসে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় যেসব ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন না সেসব ইউনিট পুনর্গঠন করা হবে।

এমনটাই জানিয়েছেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জরুরি বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। এ সময় আরও ছিলেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী অক্টোবর মাসে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকে ওয়ার্ড ও থানা কমিটি ঘোষণা করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। এছাড়া কোনো কোনো ওয়ার্ড ও থানায় ৮ থেকে ১০ সদস্যর কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, দলের বর্ধিত সভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬০০টি ইউনিটের নেতাকর্মীকে নিয়ে সভা করা হবে। অক্টোবর মাসে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী কার্যনিবাহী বৈঠকে তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সভায় যেসব ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকবে না সেসব ইউনিটের নেতৃত্ব পুনর্গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ড ও থানা কমিটি ঘোষণা করার কথাও বলা হয়েছে। আমরা আশা করি আগামী মাসে ওয়ার্ড ও থানা কমিটি দিতে পারব।

সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, প্রতিটা ইউনিট খুব সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল। প্রতিটা ইউনিট কমিটিতে দেড়শ কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীর ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু নিয়মিত বৈঠক না হওয়ায় সেই কার্যক্রম মুখ ধুবড়ে পড়েছে।

মির্জা আজম বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬০০টি ইউনিট কমিটি করা হয়েছে। এসব কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে হাজির থাকতে হবে। তাদের নিয়ে একটা সভা করা হবে। যেসব ইউনিট কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ও সভায় অনুপস্থিত থাকবে সেসব ইউনিট কমিটি নতুন করে পুনর্গঠন করা হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যেসব ওয়ার্ড ও থানা কমিটি করার নির্দেশনা আছে সেগুলো করতে হবে আগামী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। ওয়ার্ড ও থানা কমিটির পদপ্রত্যাশীদের আমরা যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব।

শেয়ার করুন