তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ইশ সোধির অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে হারল টাইগাররা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান তুলে কিউইরা। জবাবে খেলতে নেমে মাত্র ১৬৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ১৬ বলে ৬ রান করেন লিটন কুমার দাস। দ্বিতীয় উইকেটে তানজিদ হাসান তামিকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল। ১২ বলে ১৬ রান করেন তানজিদ তামিম। রানের দেখা পাননি সৌম্য সরকার। আর আউট হওয়ার আগে ৪ রান করেন তাওহীদ হৃদয়।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে জুটি গড়তে যাচ্ছিলেন দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। কিন্তু মাহমুদউল্লাহকে রেখে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে আউট হন তামিম ইকবাল। পরের উইকেটে নেমে ১৭ রান করেন শেখ মাহেদি। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ৪৯ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন রিয়াদ। এছাড়া নাসুম ২১, হাসান শূন্য ও খালেদ ১ রান করেন। আর ২ রানে অপরাজিত থাকেন মোস্তাফিজ।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১০ ওভারে মাত্র ৩৯ রানের খরচায় সর্বোচ্চ ছয়টি উইকেট নেন ইশ সোধি।
এর আগে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই দলনেতা লকি ফার্গুসন। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। শূন্যরানে ফেরেন কিউই ওপেনার উইল ইয়াং। সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেনও। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১২ রান। দুই ওপেনারকেই ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
অভিষিক্ত খালেদ আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে ১৪ রান করেন চাদ বোয়েস। শুরুর চাপ সামলে নেন হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে গড়েন ৯৫ রানের জুটি। ৬১ বলে ৪৯ রানে ফেরেন নিকোলস। পরের উইকেটে খেলতে নেমে ১০ রান করেন রাচিন রবীন্দ্রো।
এদিকে ফিফটি পূরণের পর ৬৮ রানে থামেন টম ব্লান্ডেল। মাত্র ৬৬ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি একটি ছয় ও ছয়টি চারে সাজানো। আউট হওয়ার আগে ২০ রান করেন কোলে ম্যাকেঞ্জি। কাইল জেমিসনও করেন ২০ রান। শেষদিকে ৩৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংসটি খেলেন ইশ সোধি। ১ রানে অপরাজিত থাকেন ট্রেন্ট বোল্ট।