দিল্লিতে ট্রুডোর উড়োজাহাজে ‘নাশকতার’ অভিযোগ

মত ও পথ ডেস্ক

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের শিল্পোন্নত ও ধনী অর্থনীতির জোট জি–২০–এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের নয়াদিল্লি সফর করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে নির্ধারিত সময়ে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। উড়োজাহাজে ত্রুটির কারণে সফরসঙ্গীসহ অতিরিক্ত ২৪ ঘণ্টা তাঁকে ভারতে কাটাতে হয়। এ ঘটনা উড়োজাহাজাজের ‘কারিগরি ত্রুটি’ নাকি ‘নাশকতা’—এমন প্রশ্ন উঠেছে। খবর ন্যাশনাল পোস্টের।

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এর সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গেছেন তিনি। তবে বলেছেন, এই বিষয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। তবে এটি নিয়ে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে।

universel cardiac hospital

এমন একসময়ে জাস্টিন ট্রুডোকে বহনকারী উড়োজাহাজে (কানফোর্সওয়ান নামে পরিচিত) ‘নাশকতার’ সন্দেহ করা হচ্ছে, যখন কানাডা ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। মূলত কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার জেরে দুই দেশের বিরোধের শুরু। কানাডা সরকারের দাবি, এর পেছনে ভারতের হাত রয়েছে। আর এর সপক্ষে ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ও পাওয়া গেছে।

তবে কানাডার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত। এর জেরে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে দুই দেশ। এমনকি ভারতের পক্ষ থেকে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন সময়ে ট্রুডোর উড়োজাহাজে নাশকতার সন্দেহ চলমান বিতর্কে নতুন মাত্রা দিতে পারে বলে বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।

কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ারের ওই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার প্রেস সেক্রেটারি ড্যানিয়েল মিনদেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে বহনকারী উড়োজাহাজে নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছিল, কানাডার পক্ষ থেকে এমনটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

তবে এমন সন্দেহের কথা জানিয়ে কানাডার সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক স্টিভেন চেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। অবশ্য এ–ও বলা হচ্ছে, এমন গুরুতর একটি অভিযোগ জানানোর জন্য স্টিভেন অতটাও গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন না।

শেয়ার করুন