‘ভিসা নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাপের বেটির ভূমিকা রেখেছেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি

আমেরিকার ভিসা নীতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বাপের বেটির’ ভূমিকা রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, তারা (আমেরিকা) এখন এটা-সেটা, ভিসা নীতির কথা বলে। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুর রক্তের এবং আদর্শের উত্তরাধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাপের বেটি। যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা কি বলেছেন? তুমি (আমেরিকা) স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিলে আমিও স্যাংশন দেব, আমার জনগণ দেবে। এরপর আর কোনো কথা থাকে?

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খা হলে শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিনের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে শান্তি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জননেতাদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদ।

universel cardiac hospital

বাংলাদেশের জনগণের আমেরিকায় যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, বিদেশি কোনো প্রভুর কথায় রাষ্ট্র চলবে না উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমেরিকা যাওয়া লাগবে কেন? আমাদের কোনো দরকার নেই। আমাদের সাবেক চিফ জাস্টিস ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আমি কখনও আমেরিকান ভিসা নিইনি, আমার কখনও প্রয়োজনও নেই। আর আমি বলব, দেশ কি আমেরিকার কথায় চলবে নাকি আমাদের জনগণের কথায় চলবে? ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে সংবিধান বঙ্গবন্ধু লিখে দিয়েছিলেন, সেখানে বলা আছে, এই রাষ্ট্রের মালিক বাংলার জনগণ। বিদেশিরা আমাদের কোনো প্রভু নয়। শহীদের রক্তে লেখা যে সংবিধান, সেটাকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র চলবে।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, তারা আমাদের আশপাশেই আছে। তারা আজকে আবার আমাদের স্বাধীনতার পতাকা খামচে ধরতে চায়। যে কারণে আজকে আমরা শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিনের মতো ত্যাগী শহীদ নেতাদের অভাব অনুভব করি। আর যারা আমাদের স্বাধীনতার পতাকাকে খামচে ধরতে চায়, দেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তাদের মোকাবিলা করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।

আমেরিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ছিল উল্লেখ করে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমেরিকা ডিসেম্বরে বাংলাদেশের জন্য সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ঠেকানোর জন্য। আমার মনে আছে ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে আমেরিকার প্রতিনিধি বলেছিলেন ‘সিজফায়ার’। তার মানে যুদ্ধ থামিয়ে যে যার অবস্থানে থাকা। আর এটা যদি আমরা মেনে নিতাম অথবা জাতিসংঘে এটা পাস হতো, তাহলে আমরা ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পেতাম না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করত না। আমাদের যুদ্ধটা আরও বেশি সম্প্রসারিত হতো। সে সময় আমেরিকার প্রস্তাবে রাশিয়া ভেটো দিয়েছিল, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

শেয়ার করুন