আজকের এই দিনে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তনয়া শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এ সময়টায় তিনি প্রায় প্রতিবছরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাতিসংঘের সদরদপ্তরে অবস্থান করেন। কেননা এ সময়েই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সাধারণ বৈঠক হয়ে থাকে এবং ঐ বৈঠকে পৃথিবীর তাবৎ রাষ্ট্র/ সরকারপ্রধান অংশগ্রহণ করে থাকেন। সেথায় তাঁরা তাঁদের দেশের পক্ষে বৈশ্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর বক্তব্য দিয়ে থাকেন। প্রায় ক্ষেত্রেই শতভাগ রাষ্ট্র/সরকারপ্রধান ঐ বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মার্কিনী, রুশ চৈনিকদের পাশাপাশি দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতো এবং নাউরুর রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে নিজদের কথা তুলে ধরে থাকেন। নিজেদের সমস্যাদিসহ তাঁরা সব কথাই বলেন। বৈশ্বিক পরিবেশ-প্রতিবেশ, অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি,, সন্ত্রাস আর যুদ্ধ কোনো কিছুই বাদ যায় না তাদের আলোচনা থেকে।
এ বিশ্বটাকে কিভাবে অধিকতর বাসযোগ্য করা যাবে এই নিয়ে সকলেরই মাথা ব্যাথা। এই মাথা ব্যাথা ছিল পিতা মুজিবের, আছে পুত্রী হাসিনার। তাইতো এই সময়টাতে সাম্প্রতিককালে তিনি ব্যস্ত থাকেন বিশ্বসংস্থা জাতিসংঘে নানা তৎপরায়। বিশ্বনেতৃবৃন্দের সাথে একযোগে কাজ করছেন বিশ্ব যেন আগাামীর মানুষদের বাসযোগ্য থাকে সে লক্ষ্যে।তিনি মুজিবপুত্রী হাসিনা বলেই বিশ্বমানবের হয়ে কাজ করে যান অক্লান্ত অবিশ্রান্ত।
৭৭ তম জন্মদিনে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, আপনাকে অনেক অনেক শুভ কামনা, শুভেচ্ছা আর সালাম। মা বাবার প্রথম সন্তান আপনি। দাদি -দাদার প্রথম পৌত্রি। অনেক আদর ভালবাসা আর স্নেহ মমতায় লালিত আপনি। শৈশবে, কৈশোরে যৌবনে পিতৃ সান্নিধ্য বঞ্চিত আপনি, পিতার প্রতি আপত্য ভালবাসায় বড় হয়ে উঠেছেন। পিতা যেমনি শৈশব আর কৈশোরে প্রকৃতির অবারিত উদার আবহাওয়ায় অবগাহন করে বেড়ে উঠেছেন। পিতার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ব্যতীত মায়ের স্নেহ মমতা ভালবাসা আর শাসনে, দাদি-দাদার আদর ভালবাসার ছায়াতলে থেকে জীবনের পথ চলছেন। পিতার কারামুক্তির সংগ্রামে, পিতার রাজনৈতিক আদর্শ আর কর্মসূচির বাস্তবায়নের আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন ছাত্রজীবন থেকেই। এই আন্দোলন সংগ্রামের অভিজ্ঞতা আজ আপনাকে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকের পদে কাজে সহায়ক হয়েছে।
পিতা-মাতা ভাই আর স্বজনদের নির্মম হত্যাকাণ্ড আপনাকে হতাশ না করে সাহসী করেছে। “এক মুজিবের রক্ত থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম নিবে”, “শোককে শক্তিতে পরিণত কর”, এই বক্তব্যকে সামনে নিয়ে দেশের মানুষের প্রতি গভীর ভালবাসা বুকে ধারণ করে বন্ধুর পথে পাড়ি জমিয়েছেন আপনি। বাঁধা বিপত্তি ও বন্ধুরতা অতিক্রম করে আপনি এগিয়ে যাচ্ছেন। ১৯ বার হত্যা প্রচেষ্টা থেকে আপনি রক্ষা পেয়েছেন। কারানির্যাতন ভোগ করেছেন। দলের নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতা, দোদুল্যমানতা সত্বেও নির্ভীক চিত্তে আপনার পথ চলা। এক বিষ্ময়কর অভিযাত্রা। বর্তমান বিশ্বে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ময়দানে আপনার চেয়ে সাহসী কোনো নেতা কোনো দেশের তথা জাতির হাল ধরেনি। পিতার পথ ধরে পুত্রীর পথ চলায় শত কোটি মানুষের আশীষ আর ভালবাসায় সিক্ত, আপনি, শেখ হাসিনা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, হতাশা আর স্বাস্থ্য উদাসীন জাতিকে ২০২১ সালে মধ্যবিত্ত আর ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের অধিবাসী হিসেবে দেখতে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আপনার এই পথ চলায় আমাদের অফুরান ভালবাসা আর অকৃত্রিম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি। পরম করুণাময় রাব্বুল আলামিন আপনাকে সুস্থ রাখুন, সবল রাখুন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্ভীক চালক রাখুন, এই প্রার্থনা আমাদের, আপামর জনতার।