বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ শেখ হাসিনার শুভার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে। জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে আগামী দিনে গণতন্ত্রের সংগ্রামকে একাট্টা হয়ে সমর্থন করে যাবে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ পরিশোধ করার জন্য শেখ হাসিনা এক বর্ষণমুখর দিনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আশীর্বাদ নিয়ে এদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তিনি যখন এই দেশে তাঁর রাজনীতির যাত্রা শুরু করেন তখন নানানভাবে ষড়যন্ত্র করেতাকে শারীরিক ও রাজনৈতিকভাবে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে হয়েছে, আওয়ামী লীগের বাহির থেকে হয়েছে। দেশ ও মানুষের শত্রু যারা ছিল তারা সেই জিয়াউর রহমান থেকে আরম্ভ করে সবাই চেষ্টা করেছে।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, আওয়ামী লীগের বড় বড় পদধারী নেতারাও সেদিন তাকে অঙ্কুরেই শেষ করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলো। তারা সেদিন বাকশাল করে আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে নাকে খত দিয়ে আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছে। গণফোরাম যারা গঠন করেছিল, তারা এখনও শেষ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আজকে যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের অন্যতম সহযোগী হলেন ড. কামাল হোসেন। আমি গত বছর ৩১ আগস্ট মাননীয় নেত্রীর নির্দেশে আমি একটি প্রস্তাব এনেছিলাম, সেখানেও আমি কয়েকটি নাম উল্লেখ করেছি। আজকে নাম উল্লেখ করব না। এই আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করে বলেই আওয়ামী লীগ সামনে এগুতে অনেক কষ্ট হয়। তারপরেও আওয়ামী লীগ সামনে এগিয়ে যায়। এখনও অনেকে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়েই জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে তাকে আমরা শুভেচ্ছা জানাই।
তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও বাকশাল করে শেখ হাসিনার রাজনীতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, এখানেও কিছু লোক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেইসময়ের ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিল।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, একটি চক্র আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। মির্জা ফখরুল ও তারেক রহমানের কোনো ষড়যন্ত্র আমরা বাংলার মাঠিতে সফল হতে দেব না। শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী, মানুষের ভালবাসার নেত্রী, শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। তার কোনো তুলনা হয় না। তার নেতৃত্বে এখনও পর্যন্ত আমরা ৪বার সরকার গঠন করে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন করেছি। শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ছিল, আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর বারী চৌধুরী মন্টু, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
সভায় বক্তব্য রাখেন, শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম মাহবুব আলম প্রমুখ।
এদিকে আলোচনা সভাকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে এসে যোগ দেন। এতে আলোচনা সভাটি বিশাল জনসভায় রূপ নেয়।