মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সত্যিকারের মিথ্যার সাম্রাজ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছে চীন। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনের সমালোচনা করে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এমন মন্তব্য করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কয়েক দিন আগে চীন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তথ্য নিয়ে কারসাজির অংশ হিসেবে কোটি কোটি ডলার ঢালছে চীন। সেন্সরশিপ, ডেটা সংগ্রহ ও গোপনে বিভিন্ন বিদেশি সংবাদমাধ্যম কিনে নেওয়া মাধ্যমে বিশ্ব গণমাধ্যমে কারসাজি করছে তারা।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নজিরবিহীন অর্থ ঢালা সত্ত্বেও বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশে চীনের এই প্রচারাভিযান বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কারণ দেশগুলোর গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ চীনের এ অপকর্মে বাধা দিচ্ছে।
এই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনেকে মনে করতে পারে যে তারা তথ্যযুদ্ধে জয়ী হতে পারে। তবে বিশ্বের মানুষ অন্ধ নয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সারাবিশ্বে তাদের আধিপত্য ধরে রাখার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে সত্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে তৈরি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের যেসব সংস্থা এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেগুলো ভুল তথ্যের উৎস। এছাড়া বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রই সত্যিকার মিথ্যার সাম্রাজ্য।
কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পশ্চিমা দেশগুলোকে মিথ্যার সাম্রাজ্য দাবি করে বলেন, পশ্চিমাবিশ্বের রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা যে কোনো মূল্যে রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে হারানোর লোভে অন্ধ হয়ে গেছে।
‘রাশিয়ার ওপর কৌশলগত পরাজয় আরোপের একটি প্রবণতা এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এই মিথ্যা প্রচার পশ্চিমা বিশ্বের রাজনীতিবিদদের দৃষ্টি ঝাপসা করে দিয়েছে। এর ফলে তারা এক ধরনের দায়মুক্তির অনুভূতি পাচ্ছে।’
ল্যাভরভ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা নানা দ্বন্দ্ব উসকে দিচ্ছে, মানবতাকে বিভক্ত করছে। তারা বিশ্বজুড়ে হিংসা বাড়াচ্ছে। আর বিশ্বের সার্বিক অর্জন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন বিষয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চরম মতবিরোধ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে তাইওয়ান ইস্যু, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাণিজ্য বিরোধ ও দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা অন্যতম। দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্কও বেশ শীতল।
সূত্র: রয়টার্স