৭ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৭ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট লঞ্চিং হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। ইতোমধ্যে টার্মিনালের ৮৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে যাত্রীদের জন্য টার্মিনাল উন্মুক্ত হবে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বেবিচক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করে সফট ওপেনিং করা। ইতোমধ্যে ৮৯ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী সফট ওপেনিং করবেন টার্মিনালের। উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি টার্মিনালের ভেতরেই হবে। যার ফলে উদ্বোধনের দিন গণমাধ্যমের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষ দেখতে পারবেন।

যাত্রীদের জন্য টার্মিনাল উন্মুক্ত করা প্রসঙ্গে এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যাত্রীদের জন্য টার্মিনালটি ফুল ফাংশনাল করার। টার্মিনালে ২৬টি বোডিং ব্রিজ থাকবে, তবে বর্তমানে ১২টি চালু হবে। ইতোমধ্যে বোর্ডিং কাউন্টার, ইমিগ্রেশন কাউন্টার, লাগেজে বেল্টসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়ে গেছে। এসব এখন ক্যালিব্রেশন করা হবে। এজন্য সময় লাগবে। ক্যালিব্রেশন দ্রুত শেষ করতে পারলে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগে যাত্রীদের জন্য টার্মিনাল চালু করতে পারবো।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, করোনার সময়ও টার্মিনালের নির্মাণ কাজ থামেনি। নির্মাণকাজে নিরাপত্তার বিষয়টি নজর দেওয়া হয়। তারপরও দুই জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। দুঘর্টনাগুলো ঘটেছে ব্যক্তিগত অবহেলা ও সুপারভাইজিং দুর্বলতায়।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল
টার্মিনালের পাশাপাশি আমদানি ও রফতানি কার্গো কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে বলেও জানান বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আগামী মার্চে বা এপ্রিলের দিকে কার্গো কমপ্লেক্স ব্যবহার করতে পারবো।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, নতুন টার্মিনালের সঙ্গে বিমান ভাড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। বরং যাত্রীদের সুবিধা বাড়বে।

যাত্রী সেবার মান প্রসঙ্গে মফিদুর রহমান বলেন, বর্তমান টার্মিনালেও যাত্রী সেবার মান বেড়েছে। তৃতীয় টার্মিনালে সেবার মান আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বেবিচকের সদস্য (পরিচালন ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর সাদেকুর রহমান চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক, প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মো. মাকসুদুল ইসলাম, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন