বাংলাদেশে আগের বছরের তুলনায় নাগরিকদের ইন্টারনেটে স্বাধীনতা কমেছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ইন্টারনেটে স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এ বছর বাংলাদেশের স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৪১। ২০২২ সালে তা ছিল ৪৩।
‘ফ্রিডম অব দ্য নেট ২০২৩’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে গতকাল বুধবার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কোর যত বেশি হবে, সেই দেশ ইন্টারনেট স্বাধীনতার দিক থেকে তত উদার। কোনো দেশের স্কোর ৭০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ইন্টারনেটে স্বাধীন, ৪০ থেকে ৬৯-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে আংশিক স্বাধীন এবং শূন্য থেকে ৩৯-এর মধ্যে থাকলে দেশটি স্বাধীন নয় বলে বিবেচনা করা হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে ইন্টারনেটে নাগরিকদের আংশিক স্বাধীনতা রয়েছে।
গত বছরের ১ জুন থেকে গত ৩১ মে পর্যন্ত ঘটনাবলি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ফ্রিডম হাউস। এ সময়ে ইন্টারনেটে প্রবেশে বাধার ক্ষেত্রে ২৫-এর মধ্যে ১২, বিষয়বস্তু সীমিত করার ক্ষেত্রে ৩৫-এর মধ্যে ১৮ এবং ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ৪০-এর মধ্যে ১১ নম্বর দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে বাংলাদেশে অনলাইনে সোচ্চার অধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। দমন–পীড়নের মুখে পড়েছেন বিরোধী দল বিএনপির সমর্থকেরা। বিএনপির সভা–সমাবেশের আগে নানা সময়ে ইন্টারনেট ও যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে বিরোধী নেতা, সাংবাদিক, সরকারের সমালোচক ও সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।