ইরানের ১১ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ ইউক্রেনে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

মত ও পথ ডেস্ক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফাইল ছবি

ইরানের ১১ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ ইউক্রেনে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব গোলাবারুদ অতীতে ইরানের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্র জব্দ করেছিল এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার অংশ হিসেবে সেগুলো ইউক্রেনে পাঠিয়েছে দেশটি।

অর্থাৎ মস্কোর মিত্র ইরানের অস্ত্রই এখন ইউক্রেনের হাতে চলে গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতে জব্দ করা ইরানের ১০ লাখেরও বেশি রাউন্ড গোলাবারুদ যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। বুধবার ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, ইরান থেকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র পাঠানোর অভিযোগে গত বছর একটি জাহাজ থেকে এসব গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

আল জাজিরা বলছে, গত সোমবার ‘মার্কিন সরকার প্রায় ১১ লাখ রাউন্ড ৭.৬২এমএম গোলাবারুদ ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে স্থানান্তর করেছে’ বলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের বাজেয়াপ্তকরণ দাবির মাধ্যমে চলতি বছরের ২০ জুলাই তারা এসব অস্ত্রের মালিকানা পায়।

মূলত তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যে জব্দকৃত গোলাবরুদ ইউক্রেনে পাঠানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের কথা সামনে এলো। এছাড়া ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে ইরানের সহায়তা এবং ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সহায়তার ইস্যুটি কার্যত তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে।

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে এসব অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠাল যখন দূরপাল্লার অস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে পেতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো এসব গোলাবারুদ যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনও পরিবর্তনে সহায়ক হবে না বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তারপরও রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে সামরিক সহায়তা চলমান রাখার সেই প্রচেষ্টায় ইরানের এসব অস্ত্র বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কারণ মার্কিন রিপাবলিকান পার্টির রক্ষণশীল সদস্যরা ইউক্রেনে সহায়তার জন্য আরও তহবিল বরাদ্দ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অপরদিকে যেকোনও মূল্যে ইউক্রেনের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শেয়ার করুন