টস জিতে আগে বোলিং নিলেও শুরুতে সুবিধা করতে পারছিল না বাংলাদেশের পেসাররা। সময় গড়াতেই বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে এসেছেন সাকিব। তার এবং মিরাজের তিন উইকেট করে শিকারের পাশাপাশি তাসকিন-মুস্তাফিজে আফগানদের সবকটি উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। মানেটা হলো, ১৫৬ রানেই শেষ আফগানিস্তান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরান যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিলো আজ বাংলাদেশের সামনে অনেক বড় লক্ষ্য দাঁড় করাবে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগান ওপেনারদের শুরুর ধাক্কা সামলে বাংলাদেশ খুব দ্রুতই ম্যাচে ফিরে আসে এবং আফগানদের ব্যাটারদের চেপে ধরে। শেষ পর্যন্ত ৩৭.২ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে আফগানিস্তান।
এর আগে দুই আফগান ওপেনার শুরু থেকেই চড়াও হয়ে উঠছিলেন। পেসাররা সুবিধা করতে না পারায় ইনিংসের সপ্তম ওভারেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। বাধ্য হয়ে আক্রমণে এলেন অধিনায়ক সাকিব। এসেই তুলে নিলেন ইব্রাহিম জাদরানকে (২২)। সুইপ করতে গিতে তানজিদ হাসানের হাতে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৭ রানের জুটি। এরপর রহমত শাহকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়ার দিকে যাচ্ছিলেন গুরবাজ। দলীয় ৮৩ রানে রহমত শাহকে ফিরিয়ে সেই জুটিও ভেঙে দেন সাকিব।
দুই উইকেট হারিয়ে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও হাসমতউল্লাহ শহিদী জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। শহিদীকে ১৮ রানে ফিরিয়েছেন মিরাজ। এরপর দলীয় ১১২ রানে গুরবাজের প্রতিরোধ ভাঙেন মুস্তাফিজ। স্কোরকার্ডে ১০ রান যোগ হতেই নজিবুল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করেন সাকিব। এতে সাকিব পেয়েছেন তার তৃতীয় উইকেট। এরপর নবীর স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়েছে তাসকিন।
এর আগে টস জিতে তিন পেসার তাসকিন, শরীফুল ও মুস্তাফিজকে নিয়ে ফিল্ডিং নিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে সাকিব বলেছেন, ‘রান তাড়া করার জন্য এটা উপযুক্ত মাঠ। শুরুর দিকে পেসারদের ভালো সুবিধাও পাওয়ার কথা’