ট্রান্স হিমালয়ান অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোকে গ্রিন ইকোনমি, পরিবেশ সংরক্ষণ, অভিন্ন অগ্রগতি অর্জনের লক্ষে শক্তিশালী ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন চীনের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ওয়াং ই।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোর উচিত একে অপরের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা।
একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকা ও নিজেদের মূল স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন করা। পাশাপাশি আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের মতবিরোধ সমাধানে কাজ করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল নিংছিতে অনুষ্ঠিত ‘তৃতীয় চীন তিব্বত ট্রান্স-হিমালয় ফোরাম ফর ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন’ সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনের পরিচালক ওয়াং ই এ মন্তব্য করেন।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ৪০টিরও বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
ওয়াং ই বলেন, ফোরামটি গঠনের পর থেকে চীন ট্রান্স হিমালয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে ব্যাপক ও গভীর সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া এ অঞ্চলের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পরিবেশ ও পরিবেশগত উন্নয়নেও কাজ করছে।
আঞ্চলিক দেশগুলোর পরিবেশগত সুরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা জানিয়ে ওয়াং প্রস্তাব করেন, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করা উচিত।
চীন এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে উন্নয়নের সুফল ভাগ করে নিতে ইচ্ছুক। ওয়াং, এ অঞ্চলের দেশগুলোকে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস মেনে চলার পাশাপাশি যৌথভাবে এই অঞ্চলের ঐক্য ও পারস্পরিক বিশ্বাসকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রান্স-হিমালয়ান অঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য দেশের মধ্যে আন্তঃসংযোগ এবং উন্নয়ন সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষে ২০১৮ সালে এ ফোরামটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে চীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশগুলোর সঙ্গে অনেকগুলো সহযোগিতা প্রকল্প চালু করেছে। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পরিবেশ বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে দেশটি।