ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪৫০ জন। হতাহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
এদিকে হামাসের এ হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় পাল্টা বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫০ জন। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৯৭ জনে। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতে বিপুল সংখ্যক সৈন্য জড়ো করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তারা।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সীমান্তের অন্তত ২২টি পয়েন্ট দিয়ে দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে হামাসের যোদ্ধারা। গাজা সীমান্ত থেকে ১৫ মাইল দূরের শহরেও পৌঁছে যায় তারা। কিছু কিছু জায়গায় কয়েক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে হামাস সদস্যরা। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে রাতেও তাদের লড়াই চলছিল।
এর আগে, শনিবার ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। ২০ মিনিটে ইসরায়েলে ৫ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভেতরে সশস্ত্র যোদ্ধারা ঢুকে পড়ারও খবর পাওয়া গেছে।
এ অবস্থায় ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আমাদের শত্রুদের এমন মূল্য দিতে হবে, যা তারা কখনো দেখেনি।
হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দায়েফ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ফিলিস্তিনিদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
রামাল্লাহতে আল-জাজিরার ব্যুরো প্রধান ওয়ালিদ আল-ওমারি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সূত্রগুলোর ধারণা, চারটি ভিন্ন এলাকা দিয়ে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালের পর প্রথমবারের মতো এ ধরনের ঘটনা ইসরায়েলের মধ্যে ঘটেছে। কারণ, সেগুলো সাধারণত আরব অঞ্চলেই ঘটে থাকে।