দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন : ঢেঁকি-সোফা-দোলনাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নতুন ১১ প্রতীক

মত ও পথ ডেস্ক

নির্বাচন কমিশন
ফাইল ছবি

দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর মাত্র চার মাস পরই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। এরই অংশ হিসেবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নতুন করে ১১টি প্রতীক যুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন প্রতীকসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য মোট ২৫টি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ৪৪টি প্রতীক সংরক্ষণ করেছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে সম্প্রতি প্রতীকগুলো সংরক্ষণ করেছে সংস্থাটি। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সই করা সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়েছে- স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ২৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আগের তালিকা থেকে নেওয়া হয়েছে ১৪টি প্রতীক। এছাড়া নতুন করে যোগ হয়েছে ১১টি। আগের যেসব প্রতীক তালিকায় রাখা হয়েছে সেগুলো হলো- কলার ছড়ি, খাট, ঘণ্টা, ট্রাক, তবলা, তরমুজ, দালান, ফুলকপি, বাঁশি, বেঞ্চ, বেলুন, মাথাল, রকেট ও স্যুটকেস। এছাড়া নতুন করে নেওয়া প্রতীকগুলো হলো- কেতলি, আলমিরা, থালা, ঢেঁকি, চার্জার লাইট, মোড়া, কাঁচি, ফ্রিজ, সোফা, দোলনা ও ঈগল।

universel cardiac hospital

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রণীত ২০০৮ সালের বিধিমালায় ১৪১টি প্রতীক সংরক্ষিত করা হয়েছিল। সেসময় নিবন্ধিত ৩৯টি দলের জন্য ৩৯টি প্রতীক এবং স্বতন্ত্রদের জন্য ১০২টি প্রতীক সংরিক্ষত করা হয়। এরপর কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময় দুটি দল এবং বর্তমান কমিশনের অধীনে দুটি দল নিবন্ধন পেয়েছে। এছাড়া এসময়ের মধ্যে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় পাঁচটি দল। আবার শর্ত পূরণ করতে না পারায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টি, ২০১৭ সালে পিডিপি, ঐক্যবদ্ধ নাগকি আন্দোলন ও জাগপার নিবন্ধন বাতিল হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের রায়ে (২০১৩ সাল) বাতিল হয় ২০১৮ সালে। সব মিলিয়ে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪টি।

নিবন্ধিত ৪৪ দলের প্রতীক

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ছাতা, জাতীয় পার্টি-জেপির বাইসাইকেল, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) চাকা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কাস্তে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ধানের শীষ, গণতন্ত্রী পার্টির কবুতর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) কুঁড়েঘর, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি, বিকল্পধারা বাংলাদেশের (বিডিপি) কুলা, জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মশাল।

এছাড়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির তারা, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদের মই, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি- বিজেপির গরুর গাড়ি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন- বিটিএফের ফুলের মালা, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হারিকেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির আম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের খেজুর গাছ, গণফোরামের উদীয়মান সূর্য, গণফ্রন্ট-জিএফের মাছ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের গাভী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির কাঁঠাল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-আইএফবির চেয়ার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি, ইসলামী ঐক্যজোট-আইওজের মিনার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রিকশা প্রতীক সংরক্ষিত করেছে ইসি।

আরও রয়েছে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট-বিআইএফের মোমবাতি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কোদাল, খেলাফত মজলিসের দেয়াল ঘড়ি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএলের হাত (পাঞ্জা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের টেলিভিশন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের সিংহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ, ইনসানিয়াত বিপ্লবের আপেল, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- বাংলাদেশ জাসদের মোটরগাড়ি (কার), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএমের নোঙর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপির একতারা প্রতীক।

শেয়ার করুন