ভারত ম্যাচের রিপ্লে দেখিয়ে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের মতো ২ রানে ৩ উইকেট পড়েনি পাকিস্তানের। তবে শ্রীলঙ্কার ৩৪৪ রান তাড়া করতে নেমে ৩৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোও সহজ নয়। জোড়া সেঞ্চুরিতে সেটাই করেছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে জয়ের রেকর্ড গড়েছে।
এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ৩২৮ রান তাড়া করে জিতেছিল আয়ারল্যান্ড। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩২২ রান তাড়া করে। বিশ্বকাপে ওটাই ছিল সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেডর্ক।
এছাড়া বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ছিল ২৬৩। তাও সেটা ১৯৯২ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে এবার ওই সব রেকর্ড ভেড়ে দিয়েছে পাকিস্তান। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ৩৪০ ছাড়ানো রান তাড়ার রেকর্ডও গড়েছে।
মঙ্গলবার হায়দরাবাদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। শুরুতে উইকেট হারালেও ওপেনার পাথুন নিশাঙ্কার ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলকে ১০২ রানের জুটি দেন। তার সঙ্গে ক্রিজে থাকা কুশল মেন্ডিস খেলেন ৭৭ বলে ১২২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ১৪টি চার ও ছয়টি ছক্কার শট আসে।
এছাড়া চারে নামা সামারাবিক্রমা ৮৯ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে কুশল মেন্ডিসের ১১১ রানের জুটি হয়। পরে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা খেলেন ২৫ রানের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ফিরে যান ওপেনার ইমাম উল (১২) ও তিনে নামা অধিনায়ক বাবর আজম (১০)। ওই ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭৬ রানের দুর্দান্ত জুটি দেন প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামা ২৩ বছরের আব্দুল্লাহ শফিক ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ রিজওয়ান। শফিক ১০৩ বলে ১১৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির ইনিংস তিনি সাজান ১০ চার ও তিন ছক্কায়।
তার সঙ্গে জুটি গড়া রিজওয়ান ১৩১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচ শেষ করে ফেরেন। তার ১২১ বলের ইনিংস সাজানো ছিল আটটি চার ও তিন ছক্কায়। হ্যাটস্ট্রিং ইনজুরি নিয়ে ডাবল-সিঙ্গেলে বাকি ৮১ রান করেছেন তিনি। রিজওয়ানের সঙ্গে সৌদ শাকিল ৩১ ও মোহাম্মদ ইফতিখার ২২ রান করে ছোট ছোট জুটি দিয়ে দলকে ১০ বল থাকতে জয় এনে দিয়েছেন। এতে ভারত বিশ্বকাপের দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।