অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা : ইতিহাস-ঐতিহ্য আর স্নায়ুর লড়াই

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেটের পাণ্ডুলিপিতে কতশত রেকর্ডের সংযুক্তি। রোমাঞ্চ, নাটকীয় কিংবা অবিশ্বাস্য সব ম্যাচের গল্পকে এক সুতায় বাঁধলে অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার নামটিই চলে আসবে সবার আগে। বার্মিংহামে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নাড়িয়ে দেওয়া সেই টাই; ২০১৯ বিশ্বকাপে ম্যানচেস্টারে হাই স্কোরিং ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ১০ রানের জয়টি অস্ট্রেলিয়াকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিতে রেখেছিল মুখ্য ভূমিকা।

বিশ্বমঞ্চের বাইরে ক্রিকেট ইতিহাসে যে ম্যাচটির রং ছড়িয়েছিল পুরো ক্রিকেট দুনিয়ায়, ১৭ বছর আগে হার্শেল গিবস-গ্রায়েম স্মিথদের অসাধারণ গল্পটি তো ওয়ানডে ক্রিকেটের রংই বদলে দিয়েছে। ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩৪ রান তাড়া করা প্রোটিয়ারাই দেখিয়ে দিয়েছে, ৫০ ওভারের ম্যাচে চাইলে ৪০০ রান তাড়া করা যায়। এর পর তো অনেকবারই ওয়ানডেতে ৪০০ রানের স্কোরের দেখা মিলেছে। 

ইতিহাস-ঐতিহ্য আর স্নায়ুর সব লড়াইয়ের রচয়িতা যেন অস্ট্রেলিয়া আর আফ্রিকানরাই! লক্ষ্ণৌতে ক্রিকেট বিশ্বকাপে আজ দু’দলের লড়াইয়ের আগে ইতিহাসটাই ফিরে আসছে বারবার। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার ধ্রুপদি এ লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।

বিশ্বকাপের পুরোনো দ্বৈরথটি যখন আলোচনায়, তখন চাপকে জয় করার প্রচেষ্টা অসিদের। গত এক মাসের মধ্যে ওয়ানডেতে দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল পাঁচবার। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এক দিনের সিরিজ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, স্টিভেন স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো ভরসার নামগুলো ছিল না। 

এই তারকারা বিশ্বকাপে ফিরলেও ভারতের বিপক্ষে পারেননি প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি মেলাতে। প্রাক-বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা বিশ্বমঞ্চেও ধরে রাখা প্রোটিয়ারা তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নতুন রেকর্ডও গড়েছিল। কুইন্টন ডি কক, ফন ডার ডুসেন, এইডেন মার্করামের সেঞ্চুরিতে ৪২৮ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সর্বশেষ তিন ম্যাচে ৩৩৮, ৪১৬ ও ৩১৫ রান করেছিল তারা। প্রোটিয়া ব্যাটাররা যখন রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন, অস্ট্রেলিয়ানরা শুধু ব্যাটিংয়েই নয়, বোলিংয়েও সমান ভুগছেন। ক্রিকেটে দু’দলের বিপরীতে পরিষ্কার ফেভারিট বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্ভাগা দক্ষিণ আফ্রিকা!

শেয়ার করুন