বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমরা আওয়ামী লীগ করি। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাস করি। আমরা আশুগঞ্জ ও সরাইলের উভয় কাউন্সিলে বলেছি, আমরা নৌকা চাই। এখন আমরা নৌকা পেয়েছি। আমাদের মূল প্রার্থী হচ্ছে নৌকা, শাহজাহান আলম সাজু একজনের নাম মাত্র। আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে আমরা যদি এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাজুকে বিজয় করাতে পারি, তবেই পরবর্তী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাওয়ার যৌক্তিকতা দাঁড় করাতে পারব। আর যদি কোনো কারণে এই নির্বাচনে আমাদের পা পিছলে যায়, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে নৌকার জন্য আমাদের যৌক্তিকতা থাকবে না। কাজেই এই নৌকার বিজয় ছাড়া আর কোনো পথ আপনাদের খোলা নাই।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ ( সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শাহজাহান আলম সাজু’র সমর্থনে বিশেষ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আমি বলেছিলাম, নৌকার বাইরে এখানে যেন কোনো প্রতীক দেওয়া না হয়। এমনকি আমি বলেছিলাম, নেত্রী যদি নৌকার বাইরে অন্য কোনো নমিনেশন দেন, তাহলে আমার সমর্থন পাবে না। সেই বেয়াদবির জন্য আজকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার নেত্রী যে একজন দূরদর্শী মানুষ, শেখ হাসিনা যে তৃণমূলের কর্মীদের অনুভূতি বুঝতে পারেন, তার প্রমাণ রেখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নৌকা মার্কায় ভোটের সুযোগ তৈরি করে দিয়ে।
তিনি বলেন, ৫ নভেম্বরের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সেখানে জোরজবরদস্তি করার কোনো সুযোগ থাকবে না। সুতরাং এই নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে হলে নৌকার পক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই।
আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী ছফিউল্লাহ মিয়া’র সভাপতিত্বে বিশেষ কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম সাজু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মাহাবুবুল আলম খোকন প্রমুখ।