শেষ কর্মদিবসে ছুটিতে সেই বিচারপতি, বিদায় সংবর্ধনা হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

শেষ কর্মদিবসে ছুটিতে ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদ। তাই শেষ কর্মদিবসে রোববার তার বিদায় সংবর্ধনাও হয়নি। শারীরিক অসুস্থার কারণ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বরাবর রোববার সকালে তিনি ছুটির আবেদন দেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

‘দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন’—এক শুনানিতে ১০ অক্টোবর মন্তব্য করেন বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতাবিষয়ক শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে আদালত ওই মন্তব্য করেন। এ নিয়ে আলোচনা হয়।

সংবিধান অনুসারে বিচারপতি পদের মেয়াদ ৬৭ বছর। বিচারপতি ইমদাদুল হক আজাদ ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। সে হিসাবে এই বিচারপতির শেষ কর্মদিবস ছিল রোববার। রীতি অনুসারে শেষ কর্মদিবসে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিদায়ী বিচারপতিকে সংবর্ধনা জানানো হয়ে থাকে।

হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনে অবস্থিত ১১ নম্বর কোর্টে বসে বিচারকাজ পরিচালনা করতেন বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদ। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতকক্ষটিতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন আইনজীবী ও আইনজীবীর সহকারী বসে আছেন। ছুটি নেওয়ায় ‘স্যার’ রোববার কোর্টে আসেননি বলে জানান আদালতের এক কর্মকর্তা।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিচারপতিদের পক্ষ থেকে বিদায়ী বিচারপতিকে সংবর্ধনা জানানো হয়ে থাকে। এই সংবর্ধনা নেবেন না বলে বিচারপতির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আগে জানানো হয়েছিল। অবশ্য প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা দুপুরে বিচারপতি ইমাদাদুল হক আজাদের বাসায় ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে আসেন।

শেয়ার করুন