ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মা ও দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করলেও অক্ষত প্রাণে বেঁচে গেছে ৯ মাসের শিশুসন্তান অজিহা। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনজনকে গলাকাটা মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলেও ঘরে খাটের ওপর অক্ষত অবস্থায় বসে ছিল শিশু অজিহা।
নিহতরা হলেন আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকার সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার (৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিন (৭)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেকি আক্তার তার দুই ছেলে ও নয় মাস বয়সী কন্যাশিশুকে নিয়ে নিজ বাড়িতেই ছিলেন। জেকির স্বামী শাহ আলম সৌদি আরবে রয়েছেন। সকাল ৯টার দিকে বাড়ির কাজের লোক এসে দেখেন বিল্ডিংয়ের গেট লাগানো। অনেক ডাকাডাকি করলেও গেট খুলছিল না। পরে বাড়ির অন্য লোকজনকে নিয়ে চেষ্টা করে গেট খুলে সবাই ভেতরে ঢোকেন। ভেতরে গিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেতে শাহ আলমের স্ত্রী জেকি ও তার বড় সন্তান মাহিনের গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে।
অন্যদিকে পাশের একটি বাথরুমে ছোট ছেলে মহিনের গলাকাটা মরদেহ পড়ে ছিল।
সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনজনকে হত্যাকারীরা হত্যা করলেও শাহ আলমের শিশুকন্যা অজিহা অক্ষত থেকে যায়। তাকে বিছানার ওপরে অক্ষত অবস্থায় পেয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা অজিহাকে উদ্ধার করে তার চাচিদের কাছে রেখেছেন।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে। এখনো সন্দেহজনকভাবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। কোনো চুরি ডাকাতি করার জন্য এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে না। তারপরও কোনো বিষয় আমরা বাদ দিচ্ছি না। সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।