চীন সফরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফরে আসন্ন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামের’ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি পুতিন তার ‘প্রিয় বন্ধু’ শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও দেখা করবেন।
অবশ্য চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে অবকাঠামো-সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ এই শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক গণমাধ্যমের নজর খুব কমই রয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার তার ‘প্রিয় বন্ধু’ শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে চীনে পৌঁছেছেন। ১৭-১৮ অক্টোবর বেইজিংয়ে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামের’ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এবং পুতিন এই সম্মেলনেও অংশ নেবেন।
এএফপি বলছে, মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ফোরামে অংশ নিতে চীন ১৩০টি দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এশীয় পরাশক্তি এই দেশটির আশা, এই সম্মেলন বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
এদিকে সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পুতিন তালিকার শীর্ষে রয়েছেন এবং ইউক্রেনে আক্রমণের জেরে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতার মধ্যে পড়ার পর বড় কোনও বৈশ্বিক শক্তিধর দেশে এটিই পুতিনের প্রথম সফর।
বার্তাসংস্থা বলছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন তার কমিউনিস্ট প্রতিবেশীর সাথে ইতোমধ্যেই শক্তিশালী সম্পর্ক আরও জোরদার করার মিশনে রয়েছেন। যদিও চীনের কাছে দিনে দিনে মস্কো ক্রমবর্ধমানভাবে ছোট অংশীদারে পরিণত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য রাশিয়ান এই প্রেসিডেন্টের চীন সফরের সময় কয়েকটি বড় চমক আশা করছেন। ক্রেমলিন জানিয়েছে, বুধবার এই দুই নেতা বিআরআই ফোরামের ‘সাইডলাইনে’ দেখা করবেন।
মূলত এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন বৈশ্বিক গণমাধ্যমের শিরোনামে প্রাধান্য পাচ্ছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ। তবে পরিস্থিতি যেটিই হোক চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাইছে রাশিয়া।
মূলত ইউক্রেনের সঙ্গে লড়াইয়ের কারণে রাশিয়াকে বহুবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর রাশিয়ার মতো চীনও হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রাথমিক কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী’। তাই এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাইছে।
আর এই লক্ষ্য নিয়েই জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন পুতিন।